Read in English
This Article is From Mar 03, 2020

সিএএ অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে জানাল ভারত

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তথা সিএএ দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদকে জানাল ভারত।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তথা সিএএ দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদকে জানাল ভারত।

Highlights

  • সিএএ দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে জানাল বিদেশ মন্ত্রক
  • রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের আর্জির জবাবে একথা জানাল মন্ত্রক
  • গত বছরের ডিসেম্বরে এই আইন পাস হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে
নয়াদিল্লি:

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) তথা সিএএ দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এবং কোনও বিদেশি সংগঠনের এই ইস্যুতে ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। বিদেশ মন্ত্রক মঙ্গলবার এমনটাই জানাল। রাষ্ট্রসঙ্ঘের (UN) মানবাধিকার কাউন্সিল সুপ্রিম কোর্টে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে। তারপরই এই কথা জানাল ভারত। ওই আর্জিতে শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবিধার কাউন্সিলকে সিএএ-র বিরুদ্ধে মামলায় একটি পক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হোক। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। ভারতের সংসদের আইন প্রণয়নের সার্বভৌম অধিকার রয়েছে। আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি, কোনও বিদেশি সংগঠনের ভারতের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপের অধিকার নেই।''

বিদেশ মন্ত্রক আরও বলে, ‘‘আমরা পরিষ্কার করে দিয়েছি সিএএ সাংবিধানিক ভাবে বৈধ এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধগুলির সমস্ত প্রয়োজনীয়তাগুলির অনুবর্তী।''

দিল্লি হিংসায় পুলিশের দিকে বন্দুক তাক করা ব্যক্তিকে বরেলি থেকে গ্রেফতার

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে সংসদে পাস হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। তারপর থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। কিন্তু এবার বিদেশ মন্ত্রক জানিয়ে দিল, এই আইন সাংবিধানিক ভাবে বৈধ এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধের সমস্ত প্রয়োজনীয়তার অনুবর্তী।

সংসদে ওই আইন পাস হওয়ার পরই রাষ্ট্রসঙ্ঘ তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছিল, এই আইন মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক প্রকৃতির।

Advertisement

"উন্নয়নই আমাদের মন্ত্র, এর জন্য শান্তি, সম্প্রীতি, ঐক্য বজায় রাখতে হবে", বিজেপির সংসদীয় বৈঠকে মোদি

রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের এক মুখপাত্র বলেন, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের এই সংশোধন দেশের মানুষের জাতীয়তায় বৈষম্যমূলক প্রভাব ফেলবে।

Advertisement

তিনি আরও জানান, সমস্ত অনুপ্রবেশকারীরই সুরক্ষা, সম্মান ও মানবিক আধিকার পূর্ণ হওয়ার অধিকার রয়েছে।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সংসদে পাস হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতন শাহিনবাগের বিক্ষোভ।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এই আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আগত ধর্মীয় নিপীড়ের শিকার অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

সমা‌লোচকদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং ভারতের ধর্ম‌নিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী। এই আইন ও এনআরসি মুসলিমদের লক্ষ্য করেই বানানো হয়েছে বলেও দাবি সমালোচকদের।

Advertisement