This Article is From Dec 27, 2019

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদের ছবি পোস্ট করায় দেশ ছাড়তে বলা হল নরওয়ের পর্যটককে

ফেসবুকে ওই পর্যটক লেখেন, ‘‘আমাকে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে এখনই। অন্যথায় আমার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলা হয়েছে।’’

ওই পর্যটক জানিয়েছেন, পোস্টটির কারণে তাঁকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়।

হাইলাইটস

  • ন‌াগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন ওই পর্যটক
  • সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন তিনি
  • এরপর তাঁকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়ে বলে জানিয়েছেন তিনি
কোচি:

নরওয়ে থেকে এদেশে আসা এক পর্যটক (Norwegian Tourist) ফেসবুকে (Facebook) নতুন নাগরিকত্ব আইনের (CAA) প্রতিবাদের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। শুক্রবার তিনি জানালেন ওই পোস্টের কারণে তাঁকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। অন্যথায় ফল ভুগতে হবে বলেহুমকিও দেওয়া হয়। ইমিগ্রেশন ব্যুরোর এক আধিকারিক তাঁর হোটেলে উপস্থিত হন। এবং যতক্ষণ না তিনি ফেরার টিকিট কিনছেন ততক্ষণ সেখানেই থাকেন। ওই পর্যটক জেন-মেট জোহানসন ফেসবুকে একথা ‌লিখে জানান।

বিদেশিদের আঞ্চলিক নিবন্ধীকরণ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে ওই পর্যটককে ভিসা বিধি লঙ্ঘন করার দায়ে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে।

ফেসবুকে ওই পর্যটক লেখেন, ‘‘আমাকে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে এখনই। অন্যথায় আমার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি এর ব্যাখ্যা চাই ও লিখিত ভাবে তা দিতে বলি। আমাকে বলা হয় আমি লিখিত ভাবে কিছু পাব না।''

পরে ওই পর্যটক তাঁর পোস্ট মুছে দেন। তিনি ওই পোস্টে আরও জানিয়েছিলেন, ‘‘ব্যুরোর এক আধিকারিক আমি ফ্লাইটের টিকিট না কেনা পর্যন্ত আমার সামনে থেকে যাননি। এখন আমি বিমান বন্দরে যাচ্ছি। এক বন্ধু দুবাইয়ের টিকিটের বন্দোবস্ত করে দিয়েছে। আমি সেখান থেকে সুইডেনের টিকিট পেয়ে যাব।''
8u4shbh8

কেরলের কোচিতে হওয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে তাঁর সামিল হওয়ার ছবি ওই পর্যটক পোস্ট করেছিলেন।

ফেসবুকে তিনি লিখে জানান, তিনি আর এই নিয়ে ফেসবুকে কিছু লিখবেন না। সকলকে তাঁর পাশে থাকার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান। কিন্তু জানিয়ে দেন এবার কিছুটা সময় তিনি ব্যক্তিগত ভাবে কাটাতে চান। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, তিনি ঠিক আছেন।

ক'দিন আগেই নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণে আইআইটি মাদ্রাজের জার্মান পড়ুয়া জ্যাকব লিন্ডেনথালকেও দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্সি ও জৈন শরণার্থীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সমালোচকদের আশঙ্কা এই আইন ও এনআরসির যৌথ প্রয়োগে উপযুক্ত নথি না থাকা মুসলিমদের এই দেশ থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করে হতে পারে।​

.