This Article is From Jan 19, 2020

কোনও রাজ্য ব‌লতে পারে না সংসদে পাস হওয়া আইন মেনে চলব না: কপিল সিবাল

৭১ বছরের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বলেন, ‘‘সাংবিধানিক ভাবে কোনও সরকারের পক্ষে এটা বলা কঠিন যে, আমি সংসদে পাস হওয়া আইন মেনে চলব না।’’

কোঝিকোড়ে কেরল সাহিত্য উৎসবে যোগ দিতে এসে এই কথা বলেন কপিল সিবাল।

কোঝিকোড়, কেরল:

কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা কপিল সিবাল (Kapil Sibal) দাবি করলেন, ‘‘কোনও রাজ্য সরকারের পক্ষে এটা বলা কঠিন যে আমরা সংসদে পাস হওয়া আইনকে মেনে চলব না।'' শনিবার কোঝিকোড়ে কেরল সাহিত্য উৎসবে যোগ দিতে এসে এই কথা বলেন কপিল। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বার্তা দিচ্ছে তারা নাগরিকত্ব আইন (CAA), এনআরসি (NRC) ও এনআরপি (NRP) নিয়ে অখুশি। এনআরসি তৈরি হয় এনআরপির উপরে ভিত্তি করে। এবং সেটা কোনও স্থানীয় রেজিস্ট্রার বাস্তবায়িত করবেন।'' তিনি আরও বলেন, ‘‘বলা হচ্ছে আমরা রাজ্য স্তরের আধিকারিকদের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে দেব না। আমি জানি না এটা সম্ভব কিনা। এটা একটা ধূসর এলাকা।''

দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ কেরালা

৭১ বছরের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বলেন, ‘‘সাংবিধানিক ভাবে কোনও সরকারের পক্ষে এটা বলা কঠিন যে, আমি সংসদে পাস হওয়া আইন মেনে চলব না।''

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তথা সিএএ-বিরোধী আন্দোলনে অন্য দলগুলির উচিত কংগ্রেসকে দায়িত্ব নিতে দেওয়া। এই দাবি করে কপিল সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘‘জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে, আমি মনে করি আমাদের সকলের উচিত একসঙ্গে দাঁড়ানো, কেননা এটা জাতীয় আইন। আমাদের যা করা উচিত তা হল রাজনৈতিক ভাবে একত্রিত হয়ে এই লড়াইটি লড়া। এবং কংগ্রেসকে দায়িত্ব দেওয়া।''

কেরলের পর দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে সিএএ বাতিলের প্রস্তাব পাস পঞ্জাবে

রবিবার সকালে করা একটি টুইটে কপিল দাবি করেন, নতুন নাগরিকত্ব আইন ‘অসাংবিধানিক' এভং এর বিরুদ্ধে লড়াই চলবে বলে জানান তিনি। কপিল আরও লেখেন, ‘‘প্রতিটি রাজ্যের বিধানসভার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে এর বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশ করে একে তুলতে আর্জি জানানোর। যদি আইনটিকে সুপ্রিম কোর্ট সাংবিধানিক বলে ঘোষণা করে দেয়, তাহলে এর বিরোধিতা করা সমস্যাজনক।''

আর এক বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান, যদি সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ না করে তবে এই আইন আইনের বইতে থেকে যাবে। সেক্ষেত্রে তাকে অমান্য করা কঠিন বলে দাবি করেন সলমন।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমালোচকদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।

কেরল সরকার দেশের প্রথম রাজ্য সরকার হিসেবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।

শুক্রবার পঞ্জাবের বিধানসভায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের প্রস্তাব পাস হয়। কেরলের পর দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে এই আইন তাদের রাজ্যে কার্যকর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

সুপ্রিম কোর্টে এই আইনের বিষয়ে ৬০টি পিটিশন জমা পড়েছে। 

.