কংগ্রেস ও তাদের জোটসঙ্গীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হওয়ার অভিযোগ তোলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
নয়াদিল্লি: যেভাবে দেশজুড়ে নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship Amendment Act) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে, তাতে বিক্ষোভকারীদের উচিত, “ভারতের সাংসদের বিরুদ্ধে” বিক্ষোভ না করে বরং পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা প্রয়োজন নাগরিত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের, বৃহস্পতিবার এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) । বিতর্কিত এই আইনটির বিরুদ্ধে পথে নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ, ইতিমধ্যেই ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, এবং বহু মানুষ জখম হয়েছেন। নাগরিকত্ব সংশোধন আইনে সমর্থন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হওয়া পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়া ভারতের “সাংস্কৃতিক ও জাতীয় দায়িত্ব”।
হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডায় নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে পথে শাহিনবাগের 'দাদিরা'
কর্নাটকের একটি সভায় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “ধর্মের ভিত্তিতে জন্ম হয়েছিল পাকিস্তান দেশটির, ধর্মের ভাগ হয়েছিল ভারত...হিন্দু, শিখ, খ্রিশ্চান, জৈন, পাকিস্তানে তাঁদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে। হাজার হাজার মানুষ তাঁদের ঘর ছেড়ে শরণার্থী হিসেবে ভারতে আসতে বাধ্য হয়েছেন”।
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক স্তরে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দেওয়ার সময় এসেছে। যদি প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করতেই হয়, তাহলে ৭০ বছরে পাকিস্তানের আচরণের বিরুদ্ধে করুন। যদি স্লোগান দিতে চান, তাহলে সেখানে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যে নৃশংস আচরণ হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিন, যদি সভা করতে চান, তাহলে দলিত এবং দরিদ্র, পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা শরণার্থীদের সমর্থনে স্লোগান দিন”।
কংগ্রেস ও তার জোটসঙ্গীদের বিরুদ্ধে, পাকিস্তান থেকে আসা সংখ্যালঘু শরণার্থীদের বিরুদ্ধে জমায়েত করারও অভিযোগ তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
ইন্ডিয়া গেটে জমায়েত শতাধিক, ভারতে নাগরিকত্ব আইন বয়কটের শপথ
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “তারা (কংগ্রেস ও তার জোটসঙ্গী) মনে আমাদের জন্য যে ঘৃণা রেখেছে, তা এবার দেশের সংসদের বিরুদ্ধে বলে ধরা হবে। তারা ভারতের সংসদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। তারা দলিত, পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে”।
এর আগে দিল্লির সভায় বিরোধীদের বিরুদ্ধে, তিনি ক্ষমতায় ফেরার কারণে হতাশ হওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। এদিন তিনি বলেন, “এভাবে ভারতকে আন্তর্জাতিকস্তরে লজ্জায় ফেলার চক্রান্ত চলছে কেন? আমি বলতে চাই, আপনাদের যদি পছন্দ না হয়, তাহলে মোদিকে ঘৃণা করুন, হেনস্থা করুন”।
এই প্রথমবার দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার ব্যাপারে ধর্মকে রাখা হয়েছে। সরকারের দাবি, এই আইনের ফলে, তিনটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশের সংখ্যালঘুরা ২০১৫ সালের আগে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে, ভারতে এলে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ সহজ হবে। সমালোচকদের দাবি, এটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিভাজনমূলক এবং সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতাকে লঙ্ঘন করে।