Read in English
This Article is From Jan 08, 2020

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করায় দুই মহিলাকে হেনস্থা, ভাড়া বাড়ি থেকে উচ্ছেদ

আক্রান্ত এক মহিলা জানান, বিজেপি সভাপতির প্রচারের সময় ব্যালকনিতে নাগরিত্ব আইন বিরোধী পোস্টার লাগানোয় কিছু মানুষ এসে তাঁকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

সুরিয়া রাজাপ্পান বলেন, বাড়ি খালি করার জন্য তাঁকে কোনও অনুষ্ঠানিক নোটিশ দেওয়া হয়নি।

নয়াদিল্লি:

রবিবার দিল্লির লাজপথনগরে (Delhi's Lajpat Nagar) বাড়ি বাড়ি নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (Citizenship Amendment Act) প্রচার করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, তারপরেই ঘর থেকে বের করে দেওয়া হল এক মহিলাকে। আক্রান্ত মহিলা জানিয়েছেন, বিজেপি সভাপতির প্রচারের সময় বাড়ির ব্যালকনিতে নাগরিত্ব আইন বিরোধী পোস্টার লাগানোয় কিছু মানুষ এসে তাঁকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। আক্রান্ত এক মহিলা সুরিয়া রাজাপ্পান (Surya Rajappan) NDTV কে বলেন, “সেই সময়ে ব্যানার ছিল না। তারা আমাদের বাড়িতে এসে ক্ষতিসাধন করে”। তিনি বলেন, “যেই আমাদের ব্যানার দেখেছে, আমাদের দিকে চিৎকার করতে থাকে, সেই সভায় ছিলেন বাড়ির মালিক এবং তাঁর পরিবার, তারাও আমাদের দিকে চিৎকার করতে থাকে। তারা বলে, ‘এই ব্যানারটি খুলে নিতে হবে এবং এক্ষুনি আমাদের বাড়ি ছেড়ে দিতে হবে'।  আমরা ব্যানারটি খুলে নেওয়ার পর, আমাদের বাড়িতে কয়েকজন মানুষ আসে, সেখানে ছিল আমাদের বাড়ির মালিকও, দরজায় আঘাত করে এবং বেরিয়ে যেতে বলে”।

সুরিয়া রাজাপ্পান বলেন, বাড়ি খালি করার জন্য তাঁকে কোনও অনুষ্ঠানিক নোটিশ দেওয়া হয়নি। এমনকী, তাঁর চরিত্র নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করারও অভিযোগ তোলেন তিনি।

তিনি বলেন, “আমরা কোনও আনুষ্ঠানিক নোটিশ পাইনি, তবে সেই সময়, তারা চিৎকার করে বলতে থাকে, এবং কয়েক ঘন্টা পর যখন আমার বাবা আসেন, তারা জানায়, তাঁর মেয়েকে নিয়ে তখনই বেরিয়ে যেতে। অবশ্যই, আপত্তিকর মন্তব্যও করা হয়, আমাদের বেড়ে ওঠা এবং চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। যেহেতু আমি একজন মহিলা, সেইজন্য আমার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে”।

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ব্যানার ঝোলান আইনজীবীরা

Advertisement

তিনি আরও বলেন, “আমাদের সবারই মত প্রকাশের জায়গা রয়েছে। আমরা গণতন্ত্রে রয়েছি। যন্তরমন্তরে শুধুমাত্র নাগরিকত্ব আইনেরই প্রতিবাদ হয়নি। আইনের সমর্থনেও সেখানে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা হয়েছে। সেখানে এবং এখানকার পার্থক্য হল, তাদের বিরুদ্ধে কিছু মুখ খোলেনি বিক্ষোভকারীরা। যেহেতু বিক্ষোভকারীরা আমাদের পাল্টা দিচ্ছে, ফলে ভীতির ব্যাপার রয়েছে এবং আমাদের বাড়ির মালিক আমাদের বিরুদ্ধে”।

সুরিয়া রাজাপ্পান বলেন, “এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, এখনও আমরা গণতন্ত্রে রয়েছি। কতজন আমাদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করল সেটা কোনও ব্যাপার নয়, বিষয়টি হল, আমাদের সংবিধানে বলা হয়েছে,. অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া যাবে না”।

Advertisement

এই প্রথমবার দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার ব্যাপারে ধর্মকে রাখা হয়েছে। সরকারের দাবি, এই আইনের ফলে,  তিনটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশের সংখ্যালঘুরা ২০১৫  সালের আগে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে, ভারতে এলে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ সহজ হবে। সমালোচকদের দাবি, এটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিভাজনমূলক এবং সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতাকে লঙ্ঘন করে।

Advertisement