Daryaganj: গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তির জন্যে দিল্লির দরিয়াগঞ্জ থানার বাইরে অপেক্ষা করেন পরিবারের সদস্যরা
হাইলাইটস
- দিল্লিতে নাগরিকত্ব বিক্ষোভের কারণে গ্রেফতার ১৫
- তবে আটক নাবালকদের মুক্তি দিল পুলিশ
- যেভাবে দিল্লি পুলিশ ৮ কিশোরকে আটক করেছিল তাঁর নিন্দা করে স্থানীয় আদালত
নয়া দিল্লি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল হয়েছে দেশের রাজধানী (Delhi)। পুরনো দিল্লিতে এই বিতর্কিত আইনের (Citizenship Amendment Act) প্রতিবাদ চলাকালীন সহিংসতা ছড়ানোর অপরাধে ১৫ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ (Delhi Police)। শুক্রবার ওই বিক্ষোভ থেকে প্রায় জনা চল্লিশেক বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নাবালকও ছিল বলে জানা গেছে। তবে ১৪-১৫ বছর বয়সী ওই নাবালকদের মুক্তির জন্যে তাঁদের অভিভাবকরা থানায় গিয়ে দেখা করলে তাঁদের মুক্তি দিয়ে দেয় দিল্লি পুলিশ। কিন্তু মুক্তির পর ওই কিশোরদের শরীরে পুলিশি অত্যাচারের চিহ্ন মিলেছে বলে অভিযোগ। তাঁদের শারীরিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন যে নাবালকদের হাত ফুলে গেছে এবং মাথায় আঘাত পাওয়া এক শিশুকে লোকনায়ক জয় প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
পুলিশ হেফাজতে ভীম সেনা প্রধান, দিল্লিতে আটক ৮ নাবালক সহ ৪০ জন
গতকাল (শুক্রবার) দিল্লির দরিয়াগঞ্জ (Daryaganj) সংশোধিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে বিক্ষোভকারীদের, তখনই ওই ৪০ জনকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। যাঁদের আটক করেছিল তাঁর মধ্যে ছিল ১৪-১৫ বছরের ৮ কিশোরও। তাঁদের কীভাবে আটক করল পুলিশ, এই কথা বলে শুক্রবারই দিল্লি পুলিশের কাছে জবাব তলব করে স্থানীয় এক আদালত। কেননা নিয়ম অনুযায়ী কোনও নাবালককে আইন ভাঙার দায়ে প্রথমেই গ্রেফতার বা আটক কোনওটাই করা যায় না। তাঁকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়। আদালত প্রশ্ন তোলায় বিপাকে পড়ে দিল্লি পুলিশ। এদিকে দিল্লি পুলিশের সদর দফতরের সামনে নাবালকদের মুক্তির দাবিতে সরব হয়ে হাজির হন বহু মানুষও, হাজির হন আটক কিশোরদের অভিভাবকরাও। এরপরেই অভিভাবকদের উপস্থিতিতে নাবালকদের মুক্তি দেয় পুলিশ।
পাশাপাশি স্থানীয় ওই আদালতে দিল্লি পুলিশকেও এও নির্দেশ দেয় যে, জেলে থাকাকালীন আহত কিশোরদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থাও করতে হবে তাঁদের।
পুলিশের হাত এড়িয়ে পালালেন জামা মসজিদ চত্বরে আটক চন্দ্রশেখর আজাদ
শুক্রবার দিল্লির দরিয়াগঞ্জের সুভাষ মার্গে একটি প্রাইভেট গাড়ি পার্ক করাকে ঘিরে বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেওয়ার পরেই পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও জলকামান চালায়। সূত্র জানিয়েছে, ওই ঘটনায় ৮ পুলিশ কর্মী সহ কমপক্ষে ৩৬ জনকে আহত অবস্থায় লোকনায়ক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে, বিক্ষোভ থামাতে তাঁরা কেবল "হালকা বলপ্রয়োগ" এবং জল কামান ব্যবহার করেছে। "শুক্রবার দুপুরে জামা মসজিদ এলাকায় প্রচুর লোক নমাজের পাঠের জন্য জড়ো হয়েছিলেন। নমাজের পরে তাঁরা প্রতিবাদ জানাতে যন্তর মন্তরে যেতে চাইলেও আমরা তা আটকে দিই। কারণ যন্তর মন্তরে এক হাজারের উপরে মানুষ জমায়েতের জায়গা ছিল না", সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন এক প্রবীণ পুলিশ কর্তা।
সংসদে পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন প্রাপ্ত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যে সব অমুসলিম মানুষরা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা এবার ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই আইনের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে গোটা দেশ।
জেনে নিন মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, দেখুন এই ভিডিও: