Read in English
This Article is From Dec 27, 2019

“কী বোঝাতে চেয়েছেন, তাঁকেই জিজ্ঞাসা করুন”, সেনাপ্রধানের মন্তব্য নিয়ে বললেন ভিকে সিং

৩১ ডিসেম্বর অবসর নেবেন সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, ভাঙচুরের সমালোচনা করেন তিনি

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

জেনারেল ভিকে সিং বলেন, বিক্ষোভ চলাকালীন শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানানোর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই।(ফাইল)

নয়াদিল্লি:

নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship Law) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, প্রতিবাদের সমালোচনা করেছিলেন সেনাপ্রধান পিবিন রাওয়াত (Army Chief General Bipin Rawat's), তা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেপ্রসঙ্গে প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল ভিকে সিং (VK Singh) বললেন, “এরমধ্যে আমি কোনও রাজনীতি দেখতে পাই না”, পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকে তিনি যা বলেছিলেন, তা “বিশ্লেষণ” করতে বললেন তিনি। ৩১ ডিসেম্বর অবসর নেবেন সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, ভাঙচুরের সমালোচনা করেন তিনি। বৃহস্পতিবার সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত বলেন, “ভুল দিকে জনগণকে পরিচালনা করেন না নেতারা, যেমনটা আমরা দেখছি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু পড়ুয়াকে, যেভাবে তারা জনগণকে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং আমাদের শহর ও বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ছড়াচ্ছে। এটা নেতৃত্ব নয়”।

জেনারেল ভিকে সিং বলেন, বিক্ষোভ চলাকালীন শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানানোর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই।

নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে জামা মসজিদের বাইরে বিপুল জমায়েত

Advertisement

কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ভিকে সিং বলেন, “আমাদের মহৎ দেশে, যে কোনও বিষয়কেই বিতর্কিত করে তোলে বিরোধীরা। যে বিষয়ে সেনাপ্রধান কথাটি বলেছেন, সেটির প্রসঙ্গের দিকে তাকানোই শ্রেয় হবে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন, কী বলতে চেয়েছেন। আমি যদি পড়ুয়াদের বলি, অপ্রয়োজনীয়ভাবে সম্পত্তি নষ্ট করবেন না, সেটা কি রাজনীতি হয়ে যায়? নিজের মনতে জিজ্ঞাসা করুন। সেনাপ্রধানকে আবারও জিজ্ঞাসা করুন কোন বিষয়ে তিনি এটা বলতে চেয়েছেন”।

ভিকে সিং বলেন, “যদি আমি ফুটবল খেলি, বিরোধীরা বলবে এটা রাজনীতি। যদি আপনারা প্রসঙ্গ বুঝতে না পারেন, তাহলে তাঁর থেকে বুঝে নিন।  যদি তিনি পড়ুয়াদের অগ্নিসংযোগের ঘটনায় যুক্ত থাকতে নিষেধ করেন, তাহলে সেটা খারাপ জিনিস নয়। জানি না এতে এত খারাপ কোথা থেকে হল”।

Advertisement

বিরোধীদের অভিযোগ, সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের মন্তব্য খুবই রাজনৈতিক, সেনাপ্রধানের পদটি নিরপেক্ষ এবং অরাজনৈতিক।

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ ঘিরে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে প্রধানমন্ত্রী মোদি

Advertisement

সেনাবাহিনীর আইন তুলে ধরে একাংশের দাবি, “আইনের মধ্যে, কোনও ব্যক্তিই যে কোনও পরিস্থিতিতেই অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সংবাদমাধ্যমে কোনও রাজনৈতিক প্রশ্নে মন্তব্য করতে পারেন না”।

জাতীয় নাগরিকপঞ্জী এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে কেন সন্দেহ রয়েছে, তার উল্লেখ করে বিষ্ময় প্রকাশও করেন জেনারেল ভিকে সিং। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের রিপোর্ট অনুসারে, তিনি বলেন, “সন্দেহ কোথায়?  নথি এবং শংসাপত্র প্রয়োজন, এটা একটা মিথ্যা রটনা। আমি ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিদের আবেদন জানাব, এই সমস্ত ন্যায়হীন লোকজনদের সঙ্গে এটা করবেন না। যারা ভারতে জন্মেছেন, তাঁরা ভারতীয় এবং কেউ তাঁদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে পারবে না”।

Advertisement

Advertisement