தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Dec 13, 2019

"আমার রাজ্যে নয়": নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ৩ মুখ্যমন্ত্রী

Citizenship Amendment Act: ৩ মুখ্যমন্ত্রীই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে "অসাংবিধানিক" আখ্যা দিয়ে বলেন, তাঁদের রাজ্যে এই আইন প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হবে না

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Citizenship Amendment Act: নয়াদিল্লিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা

Highlights

  • নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ করা হবে না পশ্চিমবঙ্গে, বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
  • কেরালা ও পাঞ্জাবেও ওই আইন চালু হতে দেবেন না সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীরা
  • বৃহস্পতিবারই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি
নয়া দিল্লি:

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি (Mamata Banerjee) নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি আইনে পরিণত হয়ে যাওয়ার পর সেটিকে তাঁর রাজ্যে (West Bengal) প্রয়োগ করতে দেবেন না, এবার মমতার সুরেই সুর মেলালেন অন্য ২ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও। কেরালা এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীরা বলেছেন কেন্দ্রের করা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনটি মানবেন না তাঁরাও। বৃহস্পতিবারই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে (Citizenship Amendment Bill) সম্মতি দেন, ফলে আইনে পরিণত হয় সেটি। এর আগে ভোটাভুটির মাধ্যমে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পাস হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনটির (Citizenship Amendment Act) মাধ্যমে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার বৈশিষ্ট্য নষ্ট হবে।

বুধবার সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হওয়ার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরোধিতা করেন। "এই বিলটি নিয়ে ভয় পাবেন না। আমরা আপনাদের সঙ্গে রয়েছি এবং যতক্ষণ আমরা এখানে আছি ততক্ষণ কেউ আপনাদের উপর কিছু চাপিয়ে দিতে পারবেন না", বলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বিলটি দেশের সব জায়গায় প্রয়োগ হবে এ কথা বলার পরেও খড়গপুরের এক জন সমাবেশে ওই কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নাগরিকদের জাতীয় নিবন্ধীকরণ বা এনআরসির বিরুদ্ধেও সোচ্চার হন। তিনি দাবি করেন যে দেশের সংখ্যালঘুদের বিপাকে ফেলতেই একটি সুপরিকল্পিত মহড়া করছে কেন্দ্রীয় সরকার।

বিক্ষোভের জেরে মেঘালয়ে জারি কারফিউ, স্থগিত ইন্টারনেট পরিষেবাও

Advertisement

এই বিল তথা আইনটিকে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক চরিত্রের বিরোধী বলে উল্লেখ করে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন যে তাঁর রাজ্যে এ জাতীয় "অসাংবিধানিক" আইনের কোনও স্থান নেই। "ভারতের সংবিধান ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, সংস্কৃতি, লিঙ্গ বা পেশা নির্বিশেষে সমস্ত ভারতীয়ের নাগরিকত্বের অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল তথা আইনের মাধ্যমে সেই অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্বের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পদক্ষেপ আসলে সংবিধানকে প্রত্যাখ্যান করারই সমান", দাবি করেন তিনি ।

বাংলাদেশের পর এবার ভারত সফর বাতিল করতে পারেন জাপানের প্রধানমন্ত্রীও!

Advertisement

বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে অমুসলিম অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়টি সহজ করতেই ওই আইনটি করা হয়েছে। যদিও বিরোধী দলগুলি এর বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক এবং সাম্যের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।

পাশাপাশি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং বলেন যে, পাঞ্জাব বিধানসভায় কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাঁর রাজ্যে "অসাংবিধানিক" এই বিল তথা আইনটি কার্যকর করতে বাধা দেবে। "এই আইনটি মানুষে মানুষে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন সৃষ্টি করবে। কোনও আইন যা দেশের জনগণকে ধর্মীয় ভিত্তিতে বিভক্ত করতে চায় তা অবৈধ এবং অনৈতিক", বলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

দেখুন এই ভিডিও:

  .  
Advertisement