Citizenship (Amendment) Bill: সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী একদম শেষ মুহূর্তে শিবসেনার সমর্থনকে স্বাগত জানিয়েছেন
হাইলাইটস
- প্রথমে সমালোচনা করলেও Citizenship (Amendment) Bill-কে সমর্থনই করল শিবসেনা
- সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী একদম শিবসেনার সমর্থনকে স্বাগত জানিয়েছেন
- দেশের স্বার্থেই সমর্থন; বলছেন সেনা সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ান্ত
নয়াদিল্লি: শিবসেনা (Shiv Sena) মুখপত্র ‘Saamana'তে জোর গলায় জানিয়েছিল নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল (Citizenship (Amendment) Bill) ভারতে হিন্দু মুসলিমে ‘অদৃশ্য বিভাজন' তৈরি করে দেবে! এমন কড়া সমালোচনা করার কয়েক ঘন্টা পরেই অবশ্য পালটে গেল দলের ভাবধারা! উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) নেতৃত্বে দল নিজের অবস্থন ১৮০ ডিগ্রি বদলে লোকসভায় নাগরিকত্ব বিল পাসে সরকারকেই সমর্থন জানাল। শিবসেনা সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ান্ত (Arvind Sawant) NDTV-কে জানিয়েছেন, “আমরা দেশের স্বার্থের কারণেই এই বিলটিকে সমর্থন করেছি। CMP (common minimum programme) কেবল মহারাষ্ট্রে প্রযোজ্য।”
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলটি সোমবার প্রায় ১২ ঘন্টার উত্তপ্ত আলোচনার পরে লোকসভায় পাস হয়ে যায়। বিলের সমর্থনে পড়ে ৩১১ টি ভোট এবং ৮০ টি মাত্র ভোট পড়ে বিপক্ষে। এই বিল যে সংবিধানের সাম্যের মূল নীতিকে লঙ্ঘন করছে, বিরোধীদের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন যে প্রস্তাবিত আইনটি ০.০০১ শতাংশও ভারতের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নয়।
আরও পড়ুনঃ "আশাহত": নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলকে জেডিইউ-র সমর্থন বিষয়ে প্রশান্ত কিশোর
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী একদম শেষ মুহূর্তে শিবসেনার সমর্থনকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা বুঝতে পেরেছে যে দেশের মঙ্গল হয়েছে এই বিলে, তাই তারা এটিকে সমর্থন করেছে। আমরা সব পক্ষকেই সরকারকে সমর্থন করার জন্য আবেদন করেছি।"
মহারাষ্ট্রেও কি এই সমর্থন চোখে পড়বে? লোকসভায় সেনার সমর্থন আর রাজ্য রাজনীতিতে এই সমর্থন যে পৃথক তার ইঙ্গিত দিয়ে প্রহ্লাদ জোশী বলেন, “এই প্রশ্নটা তাদেরকেই (সেনা) জিজ্ঞাসা করতে হবে।”।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকার হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে ‘অদৃশ্য বিভাজন' ঘটানোর চেষ্টা করছে, প্রথমে এমনটাই অভিযোগ এনেছিল শিবসেনা। যদিও সোমবার লোকসভায় সম্পূর্ণ ভিন্নমত পোষণ করে এই দল। দলীয় মুখপত্র সামনার এক তীক্ষ্ণ সম্পাদকীয়তে, শিবসেনা হিন্দু অবৈধ অভিবাসীদের ‘নির্বাচিত গ্রহণযোগ্যতা' দেশে ধর্মীয় যুদ্ধের সূত্রপাত হিসাবে কাজ করবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল।
আরও পড়ুনঃ সারা দিন ধরে বহু বিতর্কের পর, মাঝরাতে লোকসভায় পাস নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল
নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিক হওয়ার পথ সহজ করার জন্য ছয় দশকের পুরানো আইনটি সংশোধন করার চেষ্টা করা হয়েছে। অনেক বিরোধী দলই প্রস্তাবিত এই আইনটিকে বৈষম্যমূলক বলে মনে করছেন এবং তারা আরও জানিয়েছেন এটি ভারতের সংবিধানে অন্তর্নিহিত ধর্মনিরপেক্ষতার মূল নিয়মের পরিপন্থী।
আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলি দ্বারা সমর্থিত শিক্ষার্থীদের সংগঠনের একটি শাখা সংস্থা উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে ১১ ঘন্টার বনধ চলছে। অমিত শাহ জানিয়েছেন যে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি যেখানে আন্তঃসীমান্ত পারমিট চালু হয়েছে বা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, যেমন মণিপুর, সেগুলি নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিলের আওতায় আসবে না। তবে প্রতিবাদকারীদের দাবি, সরকার পরে আইএলপি সরিয়ে ফেলতে পারে এবং নাগরিকত্ব আইন তাদের জন্যও প্রযোজ্য হবে। আইএলপি হ'ল এমন এক নথি যা সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে ভারতের অন্যান্য অংশের মানুষের প্রবেশ করতে হলে প্রয়োজন পড়ে।