This Article is From Dec 10, 2019

"আশাহত": লোকসভায় নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলকে জেডিইউ-র সমর্থন বিষয়ে প্রশান্ত কিশোর

Citizenship Amendment Bill: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে বলা হয়েছে যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের জেরে পালিয়ে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া যেতে পারে।

প্রশান্ত কিশোর অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (NRC) বিরুদ্ধেও মন্তব্য করেছিলেন।

নয়াদিল্লি:

৩১১ টি ভোট পেয়ে পাশ হয়ে গিয়েছে বিতর্কিত নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল। নির্বাচনী কৌশলবিদ তথা জনতা দল ইউনাইটেডের (JDU) নেতা প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) সোমবার বিতর্কিত নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল (Citizenship (Amendment) Bill) নিয়ে নিজেরই দলের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখলেন। “লোকসভায়  জেডিইউ #সিএবি-কে সমর্থন করছে দেখে হতাশ! এই বিল ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্বের কথা বলে, এই বিল নাগরিকত্বের অধিকারে বৈষম্য এনে দিচ্ছে। দলীয় সংবিধানের প্রথম পাতাতেই তিনবার যে ধর্ম নিরপেক্ষ শব্দটির উল্লেখ রয়েছে এখানে তা লঙ্ঘিত এবং গান্ধির আদর্শ দ্বারা পরিচালিত নেতৃত্বের সঙ্গেও একমত নয়,” টুইটারে লিখেছেন প্রশান্ত কিশোর। 

আরও পড়ুনঃ সারা দিন ধরে বহু বিতর্কের পর, মাঝরাতে লোকসভায় পাস নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) বিলের সমর্থনে থাকা দলগুলির মধ্যে অন্যতম। জেডিউ সাংসদ রাজীব রঞ্জন সিং লোকসভায় বলেছিলেন যে তাঁর দল নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলকে সমর্থন করবে কারণ এটি পাকিস্তানে  নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি দেয়।

প্রশান্ত কিশোর অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (NRC) বিরুদ্ধেও মন্তব্য করেছিলেন। প্রশান্তের কথায় NRC খুবই গণ্ডগোলের বিষয়। পেশাদারভাবে অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মতো দলগুলির সঙ্গে যুক্ত নির্বাচনী কৌশলবিদ তথা রাজনীতিবিদ প্রশান্ত কিশোরকে তখন তাঁর দলের লোকজনই সমালোচনা করেছিলেন।

আরও পড়ুনঃ ‘‘প্রতিবাদ বন্ধ করুন'': নাগরিক বিল প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিকে অমিত শাহ

ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে জেডিইউতে যোগ দেন প্রশান্ত কিশোর। যদিও দলীয় প্রধান হিসেবে খুব কমই বিহারে সক্রিয় ছিলেন তিনি। তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে বিজেপি ইস্যু করতে পারে জেনে এ বছরের শুরুর দিকে সংসদীয় নির্বাচন থেকেও প্রশান্তকে দূরে রেখেছে জেডিইউ।

সোমবার, ১২ ঘণ্টার বিতর্ক চলাকালীন সংসদে এবং দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা যায়। সাংসদরা বিতর্ক তোলেন যে প্রতিবেশী দেশগুলির ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে ঠিকই, তবে তাতে মুসলমানরা বাদ কেন!

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে বলা হয়েছে যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের জেরে পালিয়ে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া যেতে পারে।

এই বিল আসলে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনী। ওই বিলে অবৈধ অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করাকে নিষিদ্ধ করা হয়ে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুর এই বিল নিয়ে ক্ষুব্ধ, মতবিনিময়কালে সংসদে তিনি বলেন যে এই বিলটি সমস্ত মানুষের, তা সে নাগরিক হোক বা অনাগরিক, “আইনের ঊর্ধ্বে গিয়ে সমতার নীতি লঙ্ঘন করে”।

সরকার বিলটির সমর্থনে বলেছে এটি কেবল অনুপ্রবেশকারীদের বহিষ্কার করার লক্ষ্যেই তৈরি এবং প্রতিবেশী এই তিনটি দেশে মুসলমানরা নির্যাতনের মুখোমুখি হননি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “এই বিল ০.০০১ শতাংশও সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নয়। এটি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে।"

.