This Article is From Dec 04, 2019

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেল নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল

Citizenship (Amendment) Bill: ওই বিলের লক্ষ্য হল হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ ও পার্সী এই ৬টি সম্প্রদায়কে ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেল নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল

Indian citizenship: এই বিলে নির্বাচিত ৬টি ক্ষেত্রে অবৈধ অভিবাসীদের ছাড় দেওয়ার জন্য বিদ্যমান আইনের সংশোধন করা হয়েছে

নয়া দিল্লি:

পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের লক্ষ্যে আনা নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলে  (Citizenship Amendment Bill) অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ওই বিলটি আগামী সপ্তাহে সংসদে গৃহীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গতকাল (মঙ্গলবার) বিজেপি সাংসদদের উদ্দেশে বলেন যে এই বিলটি অগ্রাধিকার পাবে, এই বিলটি ঠিক জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা শেষ করার জন্যে ৩৭০ অনুচ্ছেদে বাতিলের বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। ওই নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের লক্ষ্য হল হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ ও পার্সী এই ৬টি সম্প্রদায়কে ভারতীয় নাগরিকত্ব (Indian citizenship) প্রদান করা। এই বিলে নির্বাচিত বিভাগগুলিতে অবৈধ অভিবাসীদের ছাড় দেওয়ার জন্য বিদ্যমান আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যখন সংসদে এই বিল উপস্থাপন করবেন সেই সময় বিজেপির সমস্ত সাংসদদের সংসদে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

বিরোধীরা এই বিলটিকে মুসলমানদের বাদ দেওয়া নিয়ে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ নীতির বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপ হিসাবে সমালোচনা করেছে।

বাদ পড়বেন মুসলিমরা; বিরোধীদের ওজর আপত্তি উড়িয়ে মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল

রাজনাথ সিং গতকাল বলেন যে ধর্মীয়-নিপীড়ন থেকে বাঁচতে এ দেশে আশ্রয় নেওয়া অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ।

এই বিলটি লোকসভা সহজেই পাস হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে তবে রাজ্যসভাতে, যেখানে সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, সেখানে এই বিল পাস করানো সাংঘাতিক কঠিন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কেননা কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, বাম এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল এই বিলের বিরোধিতা করেছে। তবে রাজ্যসভায় ভোটাভুটির সময় এআইএডিএমকে-র মতো দলগুলি ঠিক কোন দিক অবলম্বন করবে তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।

এনআরসি তালিকা আসলে বিজেপির "রাজনৈতিক চাল", বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বিজেপির বন্ধু অসম গণ পরিষদ (এজিপি) এর আগে ২০১৬ সালে লোকসভায় এই বিলটির বিরোধিতা করেছিল এবং এমনকি এর প্রতিবাদে ক্ষমতাসীন জোট সরকার থেকেও বেরিয়ে আসে তাঁরা। বিলটি তখনকার মতো বাতিল হয়ে গেলে এজিপি ফিরে আসে জোটে।

"প্রতিবেশী ধর্মান্ধ দেশগুলিতে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে, তাঁরা বারবার নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। ৬ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নাগরিকত্ব প্রদানের লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ যা দেশের সর্বধর্ম সমন্বয়কে প্রমাণ করে", বলেন রাজনাথ সিং।
 

দেখে নিন দেশের অন্যান্য খবর:

.