কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে বিতর্কিত নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল পেশ করলেন সোমবার।
হাইলাইটস
- বিতর্কিত নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল সোমবার পেশ করলেন অমিত শাহ
- ১৯৪৭ সালে শরণার্থীরা ভারতে এলে তাঁদের গ্রহণ করা হয়েছিল বলে জানান তিনি
- তিনি বলেন, মনমোহন সিংহ ও এলকে আডবানিও শরণার্থী ছিলেন
নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বিতর্কিত নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল (Citizenship Bill) সংসদে পেশ করলেন সোমবার। তিনি তীব্র ভাবে প্রতিবাদ করে জানান, কোনও ভাবেই এই বিল সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারাকে লঙ্ঘন করছে না। বিরোধীরা এই বিলের প্রতিবাদ করে। বিরোধীদের চুপ করাতে অমিত শাহ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের ( Manmohan Singh) প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি জানান মনমোহন সিংহও একজন শরণার্থী। তিনি ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর এদেশে এসেছেন। তাঁকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয় এবং তিনি দেশের উন্নয়নে অবদান রাখেন। তিনি বলেন, ‘‘এই বিল পেশ করার আগে অনেক সাংসদই বলেন, আপনি এটা করতে পারেন না। কারণ এটা সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারাকে লঙ্ঘন করছে। আমি তাঁদের বলতে চাই, আপনারা জানেন না। এটা অনেক বার হয়েছে এর আগে এবং যাঁরা আজ প্রতিবাদ করছেন তাঁদের সঙ্গেও... তাঁদের দলেও এটা হয়েছে। হয়তো তাঁরা যদি পড়ে দেখেন তাঁরা ভাল করে বুঝতে পারতেন।''
তিনি আরও বলেন, ‘‘১৯৪৭ সালে সমস্ত শরণার্থী যাঁরা ভারতে এসেছিলেন তাঁদের গ্রহণ করা হয়েছিল। এমনকী, মনমোহন সিংহজি ও এলকে আডবানিজিও এসেছিলেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী ও উপ প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন আমরা তাঁকে গ্রহণ করে নাগরিকত্ব দিয়েছিলাম বলেই।''
এর আগে তিনি কংগ্রেসকে দায়ী করে বলেন, কংগ্রেস দেশভাগ করেছিল ধর্মের ভিত্তিতে।
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল সংশোধন করতে চাইছে ছ'দশকের পুরনো এক আইনকে। উদ্দেশ্য পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আগত অ-মুসলিম শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া।
১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে বলা রয়েছে, এদেশে গত ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর বসবাস করলেই কেউ এদেশের নাগরিকত্ব দাবি করতে পারে। সংশোধনী বিলে এই সময়সীমাকে অ-মুসলিমদের জন্য পাঁচ বছর করতে চাওয়া হয়েছে।
এদিন নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল পেশ করার পরে বিরোধীরা বিলটির বিরোধিতা করতে থাকেন সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারার বিরোধিতা করে।
সোমবার লোকসভায় এই বিল পেশ করার পর কংগ্রেস সাংসদরা আপত্তি জানায়, এই বিল মুসলিমদের বিরুদ্ধে। অমিত শাহ জোর দিয়ে বলেন, এই বিল ‘‘এমনকী ০.০০১ শতাংশ'' ভারতের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নয়।