தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Dec 09, 2019

উত্তর-পূর্বে বিক্ষোভের মধ্যেই আজ লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ

Citizenship Amendment Bill: এই বিলের মাধ্যমে ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে, এই যুক্তিতেই অনেক বিরোধী দলই এর বিরোধিতায় সরব হয়েছে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Highlights

  • অমিত শাহ ৬ দশকের পুরনো নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করার জন্য বিলটি পেশ করবেন
  • বিরোধী দলের একাধিক নেতা এই সংশোধনীটিকে বৈষম্যমূলক বলে উল্লেখ করেছেন
  • মোদি সরকার তাঁর প্রথম মেয়াদেও এই বিলটি পাস করানোর চেষ্টা করে ছিল
নয়া দিল্লি:

বিরোধীদের আপত্তি এবং উত্তর-পূর্বে ব্যাপক বিক্ষোভকে উপেক্ষা করেই সোমবার লোকসভায় (Lok Sabha) নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship Amendment Bill) পেশ করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Union Home Minister Amit Shah)। অনেকেই বলছেন এটি আসলে অবৈধ অভিবাসন বন্ধের লক্ষ্যে কয়েক দশকের পুরনো চুক্তি বাতিল করার একটি পদক্ষেপ। অমিত শাহ সোমবার ৬ দশকের পুরনো নাগরিকত্ব আইনটি সংশোধন করার জন্য এই বিলের প্রবর্তন করবেন, এরপরে এই বিলটি নিয়ে লোকসভায় আলোচনা হবে এবং বিলটি পাশ করানোর জন্যে বিবেচিত হবে। এই বিল থেকে হওয়া আইনের মাধ্যমে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের এই দেশে নাগরিকত্ব পেতে সাহায্য করবে।

এই বিলের প্রতিবাদে উত্তর-পূর্বের একটি প্রভাবশালী ছাত্র সংগঠন মঙ্গলবার ১১ ঘণ্টার বনধ পালনের ঘোষণা করেছে। তারা মনে করছে যে, এই বিলটি আসলে ১৯৮৫ সালের অসম চুক্তি ছিন্ন করার প্রয়াস। ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের নির্ধারিত চুক্তি অনুযায়ী ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত অবৈধ অভিবাসীরা এ দেশে শরণার্থী হিসাবে বিবেচিত হবে। অসমে বিশিষ্ট ছাত্র সংগঠন গুলি হুমকি দিয়েছে যে বিলটি পাস হলে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করবে তাঁরা।

"নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল মেনে নেব....যদি": এনআরসি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা

Advertisement

১৯৫৫ সালের মূল নাগরিকত্ব আইনটিতে বলা হয়েছে যে অন্য দেশে থেকে এ দেশে আসা কোনও ব্যক্তি যদি ভারতের নাগরিকত্ব প্রার্থী হন তাহলে তাঁকে গত ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর এ দেশে বসবাস করছেন এই প্রমাণ দেখাতে হবে। কিন্তু সেই বিধান বদলাতেই আনা এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে বলা হয়েছে যে এ দেশে টানা ৫ বছর ধরে বসবাস করা অমুসলিমরাই নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্যে অবেদন করতে পারবেন।

তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেস নেতা শশী থারুর সহ অনেক বিরোধী নেতাই এই সংশোধনীটিকে বৈষম্যমূলক বলে উল্লেখ করেছেন। "কেন্দ্র যদি সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলে তবে আমরা তা মেনে নেব। কিন্তু তাঁরা যদি ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করে তবে আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই করব", কেন্দ্রীয় সরকারকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর এই বিলটিকে "মৌলিকভাবে অসাংবিধানিক" বলে উল্লেখ করে বলেন যে এই বিলটিতে যা প্রস্তাব করা হয়েছে তা মেনে আইন হলে সেটি "ভারতের মূল ধারণা"-কে আঘাত করবে।

Advertisement

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে রাজ্যে জনসচেতনতা প্রচার করবে বিজেপি

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের লক্ষ্য হল হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ ও পার্সী এই ৬টি সম্প্রদায়কে ভারতীয় নাগরিকত্ব (Indian citizenship) প্রদান করা। এই বিলে নির্বাচিত বিভাগগুলিতে অবৈধ অভিবাসীদের ছাড় দেওয়ার জন্য বিদ্যমান আইনটির সংশোধন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। 

Advertisement

দেখে নিন এই ভিডিও:

  .  
Advertisement