Read in English
This Article is From Dec 24, 2019

“পরিষ্কার জানাচ্ছি এনপিআর, এনআরসির কোনও যোগ নেই”, বললেন অমিত শাহ

নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনের পর দেশজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যেই, “আমাদের মুসলিম ভাইদের” প্রতি আবেদন জানালেন অমিত শাহ

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from ANI)
নয়াদিল্লি:

জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী (National Population Register) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর (National Register of Citizens) মধ্যে কোনও যোগ নেই, মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) । সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, তিনি “সাফ জানাচ্ছেন”, যে, দুটি কার্যকলাপের মধ্যে কোনও যোগ নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জীর (NPR) জন্য সংগৃহীত তথ্য জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর (NRC) কাজে ব্যবহার করা যায় না, তিনি জানান, দুটি “আলাদা পদ্ধতি”। দেশজুড়ে যখন জাতীয় নাগরিকপঞ্জী করার আশঙ্কায় বিক্ষোভের ঝড় উঠেছে, এবং নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ হচ্ছে, সেই আবহেই এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এএনআইয়ে একটি সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেন, “এনপিআর হল জনসংখ্যাপঞ্জী, এনআরসি হল নাগরিকপঞ্জী। দুটির মধ্যে কোনও যোগ নেই, এবং দুটি আলাদা পদ্ধতি”। তাঁর কথায়, “কোনও নাগরিকের বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের মনে কোনও ভিতী রাখার প্রয়োজন নেই...আমাদের মুসলিম ভাইয়েরা...যে এনপিআর এর তথ্য এনআরসিতে ব্যবহার করা হবে”।

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে

তিনি বলেন, “সরকারি প্রকল্পগুলির ভিত্তি হল এনপিআর। তারমধ্যে নতুন যোগ হয়েছে, বাড়ি কোন এলাকায়, কটি গরু রয়েছে ইত্যাদি”।

সমস্ত রাজ্যে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী কার্যকর করার পরিকল্পনা নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে, চলতি বছরেই অসমে এনআরসি করা হয়, এবং ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়ে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই এখন ডিটেনশন সেন্টারে রয়েছে। এনআরসির ভয়ে, তারসঙ্গেই আবার নাগরিকত্ব সংশোধন আইন মুসলিমদের টার্গেট করা হতে পারে, এই ভয়ে রাস্তায় নেমেছে বিরোধীরা এবং প্রতিবাদে সামিল পড়ুয়ারা।  

Advertisement

ইতিমধ্যেই অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এনআরসি এবং নয়া নাগরিত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন, তারমধ্যে রয়েছে বাংলা এবং কেরল., তারা ইতিমধ্যেই এনপিআরের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে, সেটিকে এনআরসির ধাপ বলেই মনে করছে অনেকে।

প্রতিবাদ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে চাওয়ায়, “কিছু মানুষের” বিরুদ্ধে তোপ দেগে, তাদের বিরুদ্ধে “মিথ্যা গুজব” রটানোর অভিযোগ তোলেন অমিত শাহ। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি না করার জন্য তাঁদের সঙ্গে “কথা বলে আবেদন” জানাবেন তিনি।

Advertisement

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কয়েকটি দল এনপিআরের বিরোধিতা করছে, যাতে সংখ্যালঘুরা কোনও প্রকল্পের সুবিধা না পান। কিছু মানুষ এনপিআরের নামে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে, যেহেতু নাগরিকত্ব আইনের ভিতি কেটে গিয়েছে”।

অমিত শাহ বলেন, “যখন এনপিআর আধিকারিকরা আসবেন, শুধুমাত্র বক্সে ঠিক মারবেন, কাজটি হয়ে যাবে। কোনও নথির প্রয়োজন হবে না...যদি আইন থাকত, তাহলে আধারের প্রয়োজন হত, তবে, যদি আপনার তা থাকে, তাহলে তা দিতে সমস্যা কোথায়”?

Advertisement

তিনি আরও বলেন, “কারও জাতীয়তাবাদে প্রভাব ফেলবে না এনপিআর। যদি কারও নাম এনপিআর থেকে বাদ যায়, তাঁদেরও হুমকি দেওয়া হবে না”। তিনি উল্লেখ করেন, এনপিআর একটি “আগের কংগ্রেস সরকারের সাংবিধানিক আইন”, সেটিকেই অনুসরণ করা হচ্ছে।

সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ আরও বলেন, এখনও পর্যন্ত দেশজুড়ে এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। এর আগে ঠিক দুদিন আগে বিতর্কিত বিষয়টি নিয়ে তাঁর বিপরীত মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

Advertisement

এর আগে, এদিনই জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জী আপডেট করার প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বিস্তারিত জনগণনা অংশ হিসেবে এটি করা হবে বলে জানানো হয়, ২০২১ এর মধ্যে তা শেষ করা হবে বলে জানান অমিত শাহ। আগামী বছর শুরু হবে বাড়ি চিহ্নিত করা।

Advertisement