সোমবার খালি করে দেওয়া হয় আইফেল টাওয়ার সংলগ্ন এলাকা
প্যারিস/ ফ্রান্স: অনেকটাই হিন্দি ছবি ‘বান্টি ঔর বাবলি'র প্রথম সংস্করণ না? পার্থক্য, এখানে বাবলি নেই। একা বান্টি থুড়ি ভিক্টর লাস্টিং-ই কামাল করেছেন (con man Victor Lusting)। দু'বার আইফেল টাওয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। তাও আবার যাঁরা পুরনো লোহা-লক্কর কেনেন তাঁদের কাছে। ভাবছেন, এমন উদ্ভট খেয়াল কেন চাপল এমন চোর চূড়ামণির মাথায়? উত্তরটা খুব সোজা। বিনা পরিশ্রমে চটজলদি অনেক টাকা রোজগার করবেন বলে (eiffel-tower)। আর এই কাজ করেই তিনি হাসতে হাসতে নিজের নাম তুলে ফেলেছেন ইতিহাসের পাতায়।
দেখুন, বৃষ্টি থেকে বাঁচতে কী কাণ্ড করল গোরিলা বাহিনী!
গতকালই এক ভবঘুরে কাছে থেকে প্যারিসের এই গর্বকে দেখবেন বলে টাওয়ার বেয়ে উঠে পড়েছিলেন অনেকটা। তিনি বোধহয় খবর পাননি, টাওয়ারটি দু'বার বিক্রি হয়ে গেছে! টাওয়ার বিক্রির গপ্পো তো শুনবেনই। তার আগে পরিচয় হোক ভিক্টর লাস্টিংয়ের সঙ্গে (con man Victor Lusting)। ১৮৯০ সালে অস্ট্রেলিয়া-হাঙ্গারিতে জন্ম ভিক্টরের। পড়াশোনা প্যারিসে। যদিও ভিক্টর পড়তেন কম চুরি-জোচ্চুরি-পকেটমারি করতেন বেশি। এভাবেই ছিঁচকে চুরিতে হাত পাকাতে পাকাতে ১৯২৫-এ তিনি পাক্কা জুয়াচোর। তখন আর মন ভরছে না ছোটোখাটো চুরিতে। এই সময়েই একদিন মাথায় বুদ্ধি এল, ভাঙা লোহা-লক্করের দোকানে আইফেল টাওয়ারকে বেচে দিলে কেমন হয়! টাওয়ারটাও তো অনেকদিনের পুরনো। যেমন ভাবা তেমনি কাজ। প্রথমে নিজেকে সরকারি অফিসার বলে পরিচয় দিলেন ভিক্টর। তারপর, নিয়ম মেনে টেন্ডারও ডাকলেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার, সেই ডাকে সাড়া দিল শহরের সবচেয়ে নামী পাঁচ সংস্থা! তাদের মধ্যে ভিক্টর বেছেছিলেন আন্দ্রে পয়সনকে। একটি ইংরেজি দৈনিকের খবর পড়ে কর্তৃপক্ষের কাছে এত সুন্দর বর্ণনা দিলেন টাওয়ারের যে এক কথাতেই রাজি হয়ে গেল কিনতে! তারপর, ৭০ হাজার ডলারে বেচে দিলেন আইফেল টাওয়ার! যা আজকের দিনে কয়েক লক্ষ কোটি টাকার সমান।
কোথায় এই রেস্তোরাঁ যেখানে বছরে ১৬ হাজার পাত পড়ে বিনামূল্যে
তারপর? প্যারিস ছেড়ে ভিক্টর উধাও হয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ায়। কিছুদিন সেখানে গা ঢাকা দিয়ে থাকার ফের এলেন প্যারিসে। ফের কাজে লাগালেন চুরি বিদ্যের মতো মহাবিদ্যেকে। আবার বেচে দিলেন আইফেল টাওয়ার (eiffel-tower)। কার কাছে? কীভাবে? জানতে গেলে চোখ রাখুন এই ভিডিওয়।
Click for more
trending news