সদ্য সমাপ্ত ঝাড়খণ্ড নির্বাচনে জয়ের জন্যে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী সরয়ূ রায়কে (Saryu Roy) অভিনন্দন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে জামশেদপুর (পশ্চিম) থেকে তাঁকে টিকিট দিতে অস্বীকার করে বিজেপি। সেই ক্ষোভে গেরুয়া দল থেকে বেরিয়ে এসে জামশেদপুর (পূর্ব) আসন থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়েন সরয়ূ রায়। ওই আসন থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ঝাড়খণ্ডের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। তাঁকেই চ্যালেঞ্জ জানান সরয়ূ। ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, রঘুবর দাস পরাজিত হয়েছেন নির্দল প্রার্থী সরয়ূ রায়ের কাছে। ফোনে সরয়ূ রায়কে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তাঁকে "আলোচনার" জন্য কলকাতায় আসারও আমন্ত্রণ জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাঁচিতে সরয়ূ রায়ের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয় এই কথা।
সরয়ূ রায়কে তাঁর জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্রও।
আগামী রবিবার শপথ নেবেন হেমন্ত সোরেন
সরয়ূ রায় ঝাড়খণ্ডের দ্বিতীয় রাজনীতিবিদ, যিনি একজন ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রীকে পরাজিত করেছেন। এর আগে ২০০৯ সালে গোপালকৃষ্ণ পাতার ওরফে রাজা পিটার মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেনকে তামোর আসনের উপনির্বাচনে হারিয়েছিলেন। নয় হাজার ভোটে সেবার ঝাড়খণ্ডে পার্টির নেতা রাজা পিটারের কাছে পরাজয় স্বীকার করেছিলেন শিবু সোরেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে পদত্যাগও করতে হয়েছিল। জামশেদপুর পশ্চিম (West) আসনে এবার বিজেপি, প্রার্থী করেনি সরয়ূ রায়কে। সেই ক্ষোভে দলত্যাগ করে, তিনি হাই-প্রোফাইল জামশেদপুর পূর্ব (East) আসনে রঘুবর দাসের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন। ফল প্রকাশের পর দেখা যায় প্রায় ১২ হাজার ভোটে ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসকে পরাজিত করেছেন তিনি।
ঝাড়খণ্ডে হারের পর বিহারে নীতিশ কুমারকে সন্তুষ্ট রাখার লক্ষ্য বিজেপির
এই আসনে সেই ১৯৯৫ সাল অর্থাৎ প্রায় আড়াই দশক ধরে জিতে আসছেন রঘুবর দাস। কিন্তু এবার ভোটের ফল বেরানোর পর দেখা গেছে একদা তার মন্ত্রিসভার খাদ্য, গণবণ্টন মন্ত্রীর কাছে হেরে গিয়েছেন রঘুবর দাস।
দেখে নিন এই খবরগুলোও: