This Article is From Dec 24, 2019

বিভাজনমূলক শাসন সমস্যায় ভুগছে ভারত: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Citizenship Act: মানুষ দেশকে ধ্বংসের উদ্দেশ্য নিয়ে চলা ক্ষমতার সামনে মাথা নত করবে না, বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে ঘুরিয়ে একথাই বলেন মুখ্যমন্ত্রী

বিভাজনমূলক শাসন সমস্যায় ভুগছে ভারত: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

West Bengal: মানুষ দেশকে ধ্বংসের উদ্দেশ্য নিয়ে চলা ক্ষমতার সামনে মাথা নত করবে না, বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

হাইলাইটস

  • দেশে বিভাজনের শাসন চলছে, এমনটাই অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
  • এই শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াইয়ের ডাক দিলেন তিনি
  • মানুষ এই বিষয়টি মেনে নেবে না, হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেত্রীর
কলকাতা:

দেশে বিভাজনমূলক শাসনের রাজত্ব চলছে, এভাবেই কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা (Citizenship Amendment Act) প্রসঙ্গেই ওই কথা বলেন তিনি (Mamata Banerjee)। মানুষ দেশকে ধ্বংসের উদ্দেশ্য নিয়ে চলা ক্ষমতার সামনে মাথা নত করবে না, স্পষ্ট জানান মুখ্যমন্ত্রী। "বর্তমানে, দেশের মানুষ একটি নতুন সংকটের মুখোমুখি, বিভাজন এবং শাসনের দ্বারা তৈরি নতুন একটি আইনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাঁদের। এর ফলে আদৌ মৌলিক, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার বজায় থাকবে কিনা সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই", কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে বড়দিন উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠান ''ক্রিসমাস মিট ২০১৯''-এ যোগ দিয়ে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

"আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এ নিয়ে কথা বলব, ভাবনাচিন্তা করব। আমরা দেশকে বিভক্ত হতে দিতে পারি না এবং এমন শক্তির কাছে মাথা নত করতে পারি না যা আমাদের দেশকে ধ্বংস করবে", বলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ।

তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো বলেন, ভারত একটি বিশালাকায় দেশ, এবং এর সংবিধানে সবসময়েই ধর্মনিরপেক্ষতা, স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, সাম্য ও ভ্রাতৃত্বকে সমর্থন করার কথা বলা হয়েছে।

“দেশকে বাঁচান”, বিজেপি-বিরোধী নেতাদের চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর

তিনি আরও যোগ করেন, "ক্রিসমাস উপলক্ষে আমি যীশু খ্রিস্টের কাছে প্রার্থনা করছি যেন তিনি আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকার শক্তি দেন"।

নয়া সংশোধিত আইন পাসের পর থেকেই এর বিরোধিতায় সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশকে বাঁচান। সোমবার এই আবেদন করে সব অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আর বিরোধী দলের নেতাদের চিঠিও লেখেন তিনি।

তৃণমূল নেত্রী লেখেন, "আসুন আমরা এক সঙ্গে বসে পরিকল্পনা করি। আজ আমি এই চিঠি লিখছি অত্যন্ত উদ্বেগের থেকে। দেশ জুড়ে যে প্রস্তাবিত এনআরসি এবং সিএএ চালু হওয়ার কথা বলা হয়েছে, তাতে দেশের সব সম্প্রদায়, ধর্ম, জাতির মানুষ আতঙ্কিত। পুরুষ-মহিলা, ধনী-গরীব নির্বিশেষে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। খুব খারাপ সময় চলছে"।

রাজ্যে এনআরসি এবং নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ হবে না, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এই বিজ্ঞাপন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

তাঁর আরও আবেদন, "আমাদের উচিত এখন দানবীয় এই আইনের বিরোধিতা করতে সংঘবদ্ধ হওয়া। শান্তিপূর্ণ ও যুক্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রের এই অসৎ প্রয়াসকে আটকানো। তাই দেশের সব প্রবীণ রাজনীতিবিদদের কাছে আমার অনুরোধ আসুন আমরা এক হই এবং দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করি।"

দেখে নিন অন্যান্য খবরও:

.