This Article is From Jan 09, 2020

"নোংরা রাজনীতি হচ্ছে":নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিরোধী দলগুলির বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

CAA & NRC: এই আইনের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই অব্যাহত থাকবে এবং তিনি কখনও নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি বাংলায় প্রয়োগ হতে দেবেন না, জানান তৃণমূল নেত্রী

CAA: বাম ও কংগ্রেসের দুমুখো নীতি মেনে নেবেন না তিনি, সাফ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

হাইলাইটস

  • নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বিরোধী দলগুলির বৈঠকে নেই তৃণমূল
  • বুধবারের বনধে হওয়া সহিংসতার ঘটনার বিরোধিতাতেই এই সিদ্ধান্ত, জানান মমতা
  • বাম-কংগ্রেসের দুমুখো নীতি মানবেন না তিনি, স্পষ্ট জানালেন তৃণমূল নেত্রী
কলকাতা:

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) বিরুদ্ধে সুর চড়া করলেও এই আইনের বিরোধিতায় হওয়া দেশের অন্য বিরোধী দলগুলির বৈঠকে থাকবে না তৃণমূল কংগ্রেস, বৃহস্পতিবার সাফ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে "নোংরা রাজনীতি হচ্ছে", মত তাঁর। আগামী ১৩ জানুয়ারি কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship Amendment Act) বিরোধিতায় দেশের বিরোধী দলগুলির একজোট হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছেন। জানা গেছে, বুধবার ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা ধর্মঘটের সময় যেভাবে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস কর্মীরা আন্দোলনের নামে রাজ্য জুড়ে সহিংসতা ও ভাঙচুর চালিয়েছে, তার প্রতিবাদেই বিরোধী বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী (Mamata Banerjee)।  বুধবার পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা ২৪ ঘণ্টার বনধ পালন করা হয়। গোটা দেশ জুড়ে ওই ধর্মঘট তথা হরতালকে সফল করতে বিক্ষোভকারীরা সহিংসতা চালায়। এ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, দফায় দফায় অবরোধ করা হয় রেলপথ ও রাস্তা, ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। 

"কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশ": নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে বললেন প্রধান বিচারপতি

তবে ১৩ জানুয়ারি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলির বৈঠকে যোগ না দিলেও তৃণমূল নেত্রী আরও একবার জানিয়ে দিয়েছেন, এই আইনের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই অব্যাহত থাকবে এবং তিনি কখনও নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি বাংলায় প্রয়োগ হতে দেবেন না।

পাশাপাশি বাম ও কংগ্রেসের দুমুখো নীতি মেনে নেবেন না তিনি, এ কথাও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "গতকাল (বুধবার) পশ্চিমবঙ্গে বাম ও কংগ্রেস বনধের নামে যে সহিংসতা চালিয়েছে আমি সেগুলোকে একেবারেই সমর্থন করি না, আর তার জন্য়েই আমি ১৩ ই জানুয়ারি নয়া দিল্লিতে সনিয়া গান্ধির ডাকা বৈঠকটি বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।" 

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, ২০১৯ নিয়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেভাবে একের পর এক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে এবং দেশের অন্যান্য স্থানেও যেভাবে বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে আলোচনার জন্যেই বাম সহ বিরোধী দলগুলির প্রতি একটি বৈঠকের আহ্বান জানান সনিয়া গান্ধি।

তবে বিরোধী দলগুলির বৈঠকে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের জন্যে দিল্লির অন্যান্য বিরোধী নেতাদের কাছে "তাঁকে ক্ষমা করার" জন্য অনুরোধ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কারণ তিনি বলেন যে, "এই বিরোধী বৈঠকে বসার ভাবনাটিও আমিই দিয়েছিলাম।"

CAA নিয়ে বক্তব্য রাখতে আসা বিজেপি সাংসদকে ৬ ঘণ্টা আটকে রাখল বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা

"তবে গতকাল (বুধবার) রাজ্যে যা ঘটেছে তার পরে এখন আর আমার পক্ষে ওই বৈঠকে যোগ দেওয়া সম্ভব নয়", বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

ওই প্রসঙ্গে তিনি বাম ট্রেড ইউনিয়নগুলির ধর্মঘটের সময় সিপিএম যেভাবে বাসগুলির উপর ভাঙচুর চালিয়েছে ও একটি সড়ক অবরোধ করে সমস্যার সৃষ্টি করেছে সেই কথাও উল্লেখ করেন।

সিপিআইএম যখন তাঁকে বিধানসভায় সিএএ এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস করার কথা বলে, সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে তিনি এর আগেও এই দুটি বিষয়ের বিরোধিতা করেছেন এবং এখনও করছেন। তবে এখনই এই বিষয়ে কোনও প্রস্তাব পাস করার প্রয়োজন বোধ করছেন না তিনি, সাফ জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

.