This Article is From Jan 27, 2020

সংকীর্ণ পার্থক্য সরিয়ে রাখার সময় এসেছে: বিরোধীদের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

একসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হতে ডাক দেওয়ার পরেও অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘আমি একলা চলতে প্রস্তুত। একলা চলো রে।''

সংকীর্ণ পার্থক্য সরিয়ে রাখার সময় এসেছে: বিরোধীদের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

একসঙ্গে লড়াই করার পাশাপাশি মমতা অবশ্য খোঁচাও দিয়েছেন বাম-কংগ্রেসকে।

হাইলাইটস

  • পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ হয়েছে সিএএ-বিরোধী প্রস্তাব
  • বিরোধীদের অভিযোগ, কয়েক সপ্তাহ আগেই এটা করা যেত
  • সবাই মিলে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী
কলকাতা:

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ হয়েছে সিএএ-বিরোধী (Anti-CAA) প্রস্তাব। দেশের চতুর্থ রাজ্য হিসেবে এই পদক্ষেপ করল পশ্চিমবঙ্গ। এদিন বিধানসভায় বিজেপিকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সঙ্গে বার্তা দিলেন কংগ্রেস ও বাম জোটকে। তিনি বলেন, ‘‘সময় এসে গিয়েছে সংকীর্ণ পার্থক্যগুলি সরিয়ে রেখে দেশকে বাঁচাতে একসঙ্গে লড়াই করার।'' একসঙ্গে লড়াই করার পাশাপাশি মমতা অবশ্য খোঁচাও দিয়েছেন বাম-কংগ্রেসকে। তিনি বলেন, বাম আমলে এনপিআর হয়েছিল রাজ্যে। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, তিনি কংগ্রেসের আদর্শকে মেনে চলেন না। একসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হতে ডাক দেওয়ার পরেও অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘আমি একলা চলতে প্রস্তুত। একলা চলো রে।''

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাস Anti-CAA প্রস্তাব, দেশের মধ্যে চতুর্থ রাজ্য বাংলা

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও প্রস্তাবিত এনআরসির বিরুদ্ধে মমতার আন্দোলনের ব্যাপারে মতানৈক্য দেখা গিয়েছে কংগ্রেস ও সিপিআই(এম)-এর স্থানীয় নেতাদের। যদিও জাতীয় স্তরে তিনটি দলই একদিকে রয়েছে। কিন্তু রাজ্যে তাঁর দুই বিরোধী দলের নেতাদের নিয়ে হতাশ মুখ্যমন্ত্রী।

কেরল, পঞ্জাব, রাজস্থানের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে সিএএ-বিরোধী বিল পাশ করা নিয়েও বিতর্ক। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, কেন এত বিলম্ব হল বিল পাশ করতে।

কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ‘পোহা' মন্তব্যের পরে বিজেপিকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর

বিরোধীদের অভিযোগ, কয়েক সপ্তাহ আগেই এই বিল পেশ করার প্রস্তাব দেওয়ার পরেও সরকারের আপত্তিতে তা তখন পাশ হয়নি। সোমবার এই দাবিকে অগ্রাহ্য করে মমতা বলেন, কোনও সরকারের পেশ করা প্রস্তাব আরও বেশি কার্যকর। 

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, ফার্সি, জৈন ও বৌদ্ধ শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, এই সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখা হবে না। তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সমালোচকদের মতে, এই আইন মুসলিমদের জন্য বৈষম্যমূলক। এবং এটি সংবিধানের বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।

.