This Article is From Sep 02, 2019

স্বাধীনতাত্তোর সময়ে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে মূল্যবোধ? দেখুন, ট্য়ুইটে কী বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Mamata Banerjee's Tweet: আমাদের রাষ্ট্রনায়কেরা স্বাধীনতার জন্য যে মূল্যবোধের ভিত্তিতে লড়াই করেছিলেন আজ তা ক্ষুন্ন হতে দেখে আমি দুঃখিত, লিখলেন মমতা

স্বাধীনতাত্তোর সময়ে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে মূল্যবোধ? দেখুন, ট্য়ুইটে কী বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Mamata Banerjee's Tweet: রাজনীতিতে মূল্যবোধ ক্রমশই ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, টুইট করে দুঃখপ্রকাশ মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের।

কলকাতা:

দেশের রাজনীতিতে ক্রমশই ক্ষুণ্ণ হচ্ছে মূল্যবোধ, এমনটাই আশঙ্কা করছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৪৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর প্রথম অবিভক্ত ভারতের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। এরপর ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট দীর্ঘদিনের ব্রিটিশ শাসনজাল থেকে মুক্তিলাভ করে স্বাধীন হয় ভারত। অনেক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করেন ভারতবাসী। একের পর এক শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পাই ইপ্সিত স্বাধীনতা। সেই সময় দেশের জন্যে, মাতৃভূমির জন্যে প্রাণ দিতে এক মুহূর্তও ভাবেননি ওই শহিদেরা। রাজনীতির আঙিনায় থাকা তৎকালীন নেতারা একে অপরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের স্বাধীনতার জন্যে লড়েছেন। তারপর শেষ পর্যন্ত যখন সেই স্বাধীনতা এসেছে, তখন এক নতুন ভারত গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন তাঁরা। কিন্তু বর্তমান সময়ে কি অবক্ষয় থাবা বসিয়েছে দেশীয় রাজনীতিতে ? একতা নয়, বরং বিভেদের রাজনীতির দিকেই ঝুঁকছেন রাজনৈতিক দলগুলি? আজকের (২ সেপ্টেম্বর) এই বিশেষ দিনে এমনটাই সম্ভবত মনে করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকের দিনটির (২ সেপ্টেম্বর) স্মৃতিচারণ করে ট্যুইট (Tweet) করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)।

"১৯৪৬ সালের এই দিনে অবিভক্ত ভারতের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছিল, যা কার্যকর ছিল ১৯৪৭ সালের অগাস্ট মাস পর্যন্ত। আমাদের রাষ্ট্রনায়কেরা স্বাধীনতার জন্য যে মূল্যবোধের ভিত্তিতে লড়াই করেছিলেন আজ তা ক্ষুন্ন হতে দেখে আমি দুঃখিত", লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

NRC থেকে ১ লক্ষ গোর্খা সম্প্রদায়ের মানুষ বাদ পড়ায় দুঃখিত, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

এর আগে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অবলুপ্তির পর সেখানকার অচলাবস্থা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাশ্মীর নিয়ে কাউকে কথা বলতে দেয়নি মোদি সরকার, বন্দুকের নল দিয়ে সকলের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি অসমের এনআরসি তালিকা থেকে প্রচুর মানুষের নাম বাদ যাওয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় তৃণমূল নেত্রীকে।

এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা থেকে বহু বাঙালির নাম বাদ পড়ায় উদ্বিগ্ন হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এনআরসির চূড়ান্ত তালিকাকে “ব্যর্থ নাটকীয়তা” বলেও তোপ দাগেন তিনি।

এনআরসির বিরোধিতা, তালিকার বাইরের মানুষদের দায়িত্ব নিতে হবে কেন্দ্রকেই, দাবি তৃণমূলের

জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর সবচেয়ে বড় সমালোচক তৃণমূল কংগ্রেস, গোটা বিষয়টিকেই তাঁরা মোদি সরকারের “বিভাজনমূলক কাজ” বলে মন্তব্য করেছে।

.