This Article is From Jun 17, 2019

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেন চিকিৎসকরা: ১০টি তথ্য

Doctors' strike: চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যু হওয়ায়, এক জুনিয়র চিকিৎসককে নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে মৃতের পরিবারের বিরুদ্ধে, তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ধর্মঘট শুরু করেন চিকিৎসকরা।

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেন চিকিৎসকরা: ১০টি তথ্য

Doctors strike: সারাদেশে ব্যহত চিকিৎসা পরিষেবা

নিউ দিল্লি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে জট কাটল, ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেন বিক্ষোভরত চিকিৎসকরা। মুখ্যমন্ত্রীর সৎ উদ্দেশ্য রয়েছে এবং তিনি তাঁদের অভিভাবক বলে মন্তব্য করেছেন চিকিৎসকরা, অন্যদিকে, তাঁদের দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতালে নিরাপত্তায় ১০টি প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। সোমবার সংবাদমাধ্যমের উপস্থিততে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয় চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদলের। দেশজুড়ে জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সমস্ত পরিষেবা বন্ধ রাখে হাসপাতালগুলি। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে, সেই মামলা শুনতে রাজি হয়েছে শীর্ষ আদালত।

এখানে রইল ১০'টি তথ্য:

  1. চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের চিকিৎসকদের জন্য আমরা গর্বিত। আপনারা আমার সরকারের প্রতি ক্রুদ্ধ হতে পারেন, তবে কাজে ফিরুন। আমি খুশি হব, যদি আপনারা এখন কর্মবিরতি শেষ হওয়ার ঘোষণা করেন”। মানুষের আরও সংবেদনশীল হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সব রোগী খারাপ নয়”।
     

  2. বৈঠকে যোগদান করে চিকিৎসকরা বলেন, “আমরা সমাধান চাই, সেই কারণে বৈঠকে যোগ দিয়েছি...আমরা বিশ্বাস করি, আপনার সৎ উদ্দেশ্য রয়েছে।যদি সম্ভব হয়, তাহলে অপ্রত্যাশিত ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন”। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের অভিভাবকও বলেন চিকিৎসকরা।
     

  3. দেশে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দায়ী বলে মন্তব্য করেন বাবুল সুপ্রিয়।তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইগো রয়েছে, প্রথম দিনেই আহত চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। যদিও তাঁদের তিনি চিকিৎসকদের ভর্ৎসনা করেন এবং এসমা আইন জারি করার হুমকি দেন”।
     

  4. এসএসকেএমে ভর্তি ছিলেন আহত চিকিৎসক, সেখানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর থেকেই উথ্থান পতন হয়েছে, সরকারপক্ষ ও চিকিৎসকদের সম্পর্কে।ধর্মঘটে যোগদান করা চিকিৎসকদের “বহিরাগত” বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী, এবং ধর্মঘট না তুললে হস্টেল খালি করা সহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।তারপর সোমবার বৈঠক হয়।
     

  5. মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের আরও ক্রুদ্ধ হন চিকিৎসকরা।তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা, মুখ্যমন্ত্রীর নিঃশর্ত ক্ষমতা চাওয়ার দাবি তোলেন বিক্ষোভরত চিকিৎসকরা।দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
     

  6. ৬দিন ধর্মঘটে বহু রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হন, বর্হিবিভাগ বন্ধ রাখা হয়, কয়েকটি অস্ত্রপচার  বন্ধ রাখা হয়, ডায়গনস্টিক বিভাগেও কাজ বন্ধ থাকে। রবিবার, আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলে ইঙ্গিত দেন চিকিৎসকরা।
     

  7. ধর্মঘট ছড়িয়ে পড়ে, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যসোসিয়েশনের ডাকে জরুরি নয়, এমন পরিষেবা, যেমন বর্হিবিভাগ, কয়েকটি অস্ত্রোপচার, এবং পরীক্ষার কাজ বাতিল করা হয় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে।
     

  8. চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলা রুখতে আইন আনার ডাক দিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যসোসিয়েশন। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও সুনিশ্চিত করার দাবি করেছে তারা।
     

  9.  NDTV কে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানান, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে আইন আনার জন্য চিন্তাভাবনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আমি সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি। তবুও কেন্দ্রের তরফে আমরা নতুন আইন আনার চেষ্টা করব”।২০১৭-এ এই ধরণের আইন আনা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
     

  10. রবিবার রাতে, দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের ট্রমা সেন্টারের এক রেসিডেন্ট এক চিকিৎসককে হেনস্তার অভিযোগ ওঠে  রোগীর মদ্যপ আত্মীয়ের বিরুদ্ধে, তারপরেই ধর্মঘটে সামিল হন চিকিৎসকরা।



Post a comment
.