রোগীকে প্রয়োজনীয় এবং যথাযথ চিকিৎসা ও যত্ন দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে; হাসপাতাল
কলকাতা: ফের রোগীকে অবহেলার অভিযোগ উঠল শহর কলকাতার একটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে! দুর্ঘটনায় দু'টুকরো হয়ে যাওয়া আঙুল জোড়া দিতে হাসপাতালে এসেছিলেন রোগী, অভিযোগ কাটা যাওয়া আঙুলটাই হারিয়ে ফেলেছেন হাসপাতালের কর্মীরা। গতকালই ওই আঙুলের অস্ত্রোপচারের কথা ছিল। অস্ত্রোপচার করতে যাওয়ার ঠিক আগেই রোগীর পরিজনদের চোখে পড়ে কাটা যাওয়া অংশটি আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার হাওড়াতে নিজের কর্মস্থলের কাছেই ৩৮ বছর বয়সী নিখিল চক্রবর্তী (Nikhil Chakraborty) দুর্ঘটনার মুখে পড়েন। বাইক থেকে উলটে পড়ে যান নিখিল এবং তার চতুর্থ বা অনামিকা আঙুলে বেশ জোরে আঘাত লাগে, কেটে যায়। তাঁকে তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তারপর কলকাতার সিএমআরআই হাসপাতালে (CMRI hospital, Kolkata) স্থানান্তর করা হয়।
সংসদের বাইরে ফুটবল খেলে অভিনব প্রতিবাদ তৃণমূল সাংসদের
নিখিলের স্ত্রী এনডিটিভিকে বলেন, এমন মারাত্মক অবহেলার জন্য হাসপাতালের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, হাসপাতালের কর্মীরা ভারত-নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট ম্যাচ দেখতেই ব্যস্ত ছিল এবং আঙুলের কাটা অংশটি হারিয়ে ফেলে। কাটা অংশটি নিখিলের সহকর্মী এমার্জেন্সি কাউন্টারে জমা দিয়েছিলেন।
নিখিল চক্রবর্তীর সহকর্মীই নিখিলকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি বলেন, “ওকে যখন অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখনই কারও একটা চোখে পড়ে আঙুলের অংশটা কাটাই। আমি তাঁর স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসা করলাম আঙুলে বাকি অংশের কী অবস্থা! কিন্তু তাঁর স্ত্রীও বিষয়টি জানতেন না। তখন হাসপাতালের কর্মীরা সব জায়গায় কাটা আঙুল খুঁজতে থাকে, সর্বত্র, এমনকি আবর্জনা ফেলার জায়গাতেও।” তিনি আরও জানান, সকাল সাড়ে ৯ টার সময় অস্ত্রোপচার হবে এমনটাই নির্ধারিত ছিল। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের কর্মীরা খোয়া যাওয়া আঙুলের অংশ খুঁজে পাননি।
ভুয়ো হলফনামা পেশের অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব আদালতের
এক বিবৃতিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ (CMRI hospital, Kolkata) জানিয়েছে, ওই রোগীর অবস্থা এখন স্থিতিশীল। বিবৃতিতে হাসপাতালের তরফে লেখা হয়েছে, “একজন পুরুষ রোগীকে হাতে আঘাত নিয়ে সিএমআরআইতে ভর্তি হন। তাঁর বাম হাতের চতুর্থ বা অনামিকা আঙুলের মাথার দিকটি কেটে ফেলা হয়েছিল। রোগীকে প্রয়োজনীয় এবং যথাযথ চিকিৎসা ও যত্ন দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠান এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।”