সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতারও আহ্বান জানালেন Sunanda Vashisht
নয়া দিল্লি/ওয়াশিংটন: ওয়াশিংটনে মানবাধিকার বিষয়ক মার্কিন কংগ্রেসের এক শুনানিতে ভারতীয় সাংবাদিক সুনন্দা বশিষ্ঠ জম্মু ও কাশ্মীরের পক্ষে জোরদার সওয়াল করলেন। এর আগে ভারত পাঞ্জাব জন্যে লড়েছে ও উত্তর-পূর্বের বিদ্রোহীদের দমন করেছে এবং এখন কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে নয়াদিল্লির লড়াইকে শক্তিশালী করার সময় এসেছে, বলেন তিনি। শ্রীমতি বশিষ্ঠ (Sunanda Vashisht) বলেন, কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও সেখানকার মানবাধিকার রক্ষায় সহায়তা করবে। "ভারতের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার প্রচেষ্টা অতুলনীয়। গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যেই এই দেশ সাফল্যের সঙ্গে পাঞ্জাব এবং উত্তর-পূর্বে বিদ্রোহীদের দমন করেছে। এখন জম্মু ও কাশ্মীরের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ভারতের আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ করার সময় এসেছে এবং তা হলেই সেখানকার মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত সমস্যার চিরতরে সমাধান হবে," টম ল্যান্টোস মানবাধিকার কমিশনের শুনানিতে ওই কথা বলেন শ্রীমতি বশিষ্ঠ। গত তিন সপ্তাহে কাশ্মীর নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের এটি দ্বিতীয় শুনানি।
প্রকাশিত ভারতের নতুন মানচিত্র! দেখে নিন কেন্দ্রশাসিত জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখের অবস্থান
সংবাদপত্রের ওই বিশেষ বিভাগীয় লেখক বলেন, পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা পশ্চিমের দেশগুলিতে ইসলামিক সন্ত্রাসের নৃশংসতার পরিচয় দেওয়ার অনেক আগে থেকেই উপত্যকায় "আইসিসের ভয়াবহ বর্বরতা"-র মতো অত্যাচার চালিয়ে এসেছে । "আমি আজ এই শুনানিতে এমন বলছি কারণ আমার পরিবার এবং আমার মতো এমন অনেকেই সেখানে আমাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতাম এবং ওদের অত্যাচারে আমাদের জীবনযাত্রা তছনছ হয়ে গেছিল তখন কিন্তু গোটা বিশ্ব নীরব ছিল,", বলেন সুনন্দা বশিষ্ঠ। এই সমাবেশেই অনেক মার্কিন সাংসদ ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অবলুপ্তির পর জারি হওয়া নিরাপত্তাজনিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁদের উদ্বেগের উত্তরেই ওই জবাব দিতে শোনা যায় ভারতীয় সাংবাদিককে।
অনুচ্ছেদ ৩৭০, ৩৫এ আসলে "সন্ত্রাসের প্রবেশদ্বার" ছিল, প্রধানমন্ত্রী সেটি বন্ধ করলেন: অমিত শাহ
১৯৯০-এর দশকে যখন পাকিস্তান মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষদের লক্ষ্যবস্তু করা শুরু করেছিল তখন প্রায় ৪০০,০০০ কাশ্মীরি হিন্দুকে উপত্যকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল, তখন বিশ্ব নেতাদের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শ্রীমতি বশিষ্ঠ।
"আমার অধিকার কেড়ে নেওয়ার সময় মানবাধিকারের সমর্থকরা কোথায় ছিলেন? আমার দুর্বল বৃদ্ধ দাদু যখন রান্নাঘরের ছুরি হাতে আত্মরক্ষার চেষ্টা করছিলেন এবং আমার মাকে কুড়োল দিয়ে কোপাতে উদ্যত হয়েছিল এক জঙ্গাবাদে উন্মত্ত মানুষ, তখন এই মানবতা রক্ষাকারীরা কোথায় ছিলেন?", পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি।
"সমস্ত মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের কারণে" এই কথা বলে ওই সাংবাদিক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উগ্র ইসলামপন্থী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতকে সহায়তা করার জন্যেও আহ্বান জানান।