Read in English
This Article is From Jun 24, 2019

কার্গিল যুদ্ধের কুড়ি বছর পার, টাইগার হিল দখলের ‘পুনরাভিনয়’ বায়ুসেনার

কুড়ি বছর হয়ে গেল কার্গিল যুদ্ধের। সেই যুদ্ধকে স্মরণ করতে গোয়ালিয়রে বায়ুসেনা ঘাঁটিকে ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ সাজিয়ে পুনরাভিনয় হল টাইগার হিল পুনরুদ্ধারের।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

পুনরাভিনয় হল কুড়ি বছর আগে টাইগার হিল পুনরুদ্ধারের।

Highlights

  • পুনরাভিনয় হল কুড়ি বছর আগে টাইগার হিল পুনরুদ্ধারের।
  • গোয়ালিয়রে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে কার্গিল যুদ্ধের কুড়ি বছর পালিত হল।
  • পরের মাসে কার্গিল বিজয় দিবস পালন হবে অন্য শহরে।
গোয়ালিয়র:

কুড়ি বছর হয়ে গেল কার্গিল যুদ্ধের (Kargil War)। ১৯৯৯ সালের সেই যুদ্ধকে স্মরণ করতে গোয়ালিয়রে (Gwalior) বায়ুসেনা (IAF) ঘাঁটিকে ‘যুদ্ধক্ষেত্র' সাজিয়ে পুনরাভিনয় হল কুড়ি বছর আগে টাইগার হিল পুনরুদ্ধারের। জম্মু ও কাশ্মীরের দ্রাস-কার্গিল সেক্টরের টাইগার হিলকে গোয়ালিয়রে প্রতিষ্ঠা করতে তৈরি করা হল ‘মডেল হিল' বা নকল পাহাড়। সেখানে ব্যবহার করা হল বিস্ফোরকও। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়া। কার্গিল যুদ্ধের কুড়ি বছর পরে সেই ঘটনাকে স্মরণ করতে এই বায়ুসেনা ঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি ক্রিয়াকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তারই একটি হল টাইগার হিল আক্রমণের এই প্রতীকী নাট্যরূপ। পাঁচটি মিরাজ ২০০০, দু'টি মিগ-২১ ও একটি সুখোই ৩০ এমকেআই ওই ঘাঁটিতে রাখা হয়েছে প্রদর্শনের জন্য। একটি মিরাজ ২০০০-এ স্পাইস বোমা (SPICE bomb) রাখা হয়েছে, যা ফেব্রুয়ারিতে বালাকোটে বিমান হানায় ব্যবহার করা হয়েছিল।

লিচু নয়, এনকেফেলাইটিসে ১৫০ শিশুর মৃত্যুর কারণ দারিদ্র্য আর অপুষ্টি!

কার্গিল যুদ্ধের সময় মাত্র বারোদিনের রেকর্ড সময়ের মধ্যে মিরাজ ২০০০-কে পিওডি ও লেজার নির্দেশিত বোমার উৎসে লক্ষ্যভেদকারী হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল। পুরনো সেই স্মৃতিচারণাই উঠে এল প্রধান অতিথির গলায়। এয়ার চিফ মার্শাল ধানোয়া জানান, ‘‘মিরাজ ২০০০-এর আধুনিকীকরণ দ্রুত সম্পন্ন করে সেটিকে কার্গিল যুদ্ধে নিয়ে আসা হয়েছিল।''

Advertisement

জোর করে ‘জয় শ্রী রাম' বলানোর অভিযোগ,গণপিটুনিতে মৃত্যু যুবকের

১৯৯৯-এর ‘অপারেশন বিজয়'-এ অংশগ্রহণকারী বহু কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত গ্যালান্ট্রি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী এই দিন উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

টাইগার হিলে লক্ষ্যভেদে দারুণ সফল হয়ে মিরাজ ২০০০ সেই যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ভারতীয় আর্মির ‘অপারেশন বিজয়'-এর অংশ হিসেবে ‘সফেদ সাগর' অপারেশন চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা।

কার্গিল যুদ্ধে কুড়ি বছর পূর্তি উপলক্ষে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছে আর্মির তরফে। পরের মাসে কার্গিল বিজয় দিবস পালন করতে দিল্লি ও জম্মু ও কাশ্মীরের দ্রাসে ওই অনুষ্ঠানগুলি আয়োজিত হবে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। ২৫ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠানগুলি হবে।

Advertisement

তবে তার আগে ১৪ জুলাইতেই রাজধানী নয়াদিল্লিতে উদযাপন শুরু হবে। ওইদিন একটি আলোকবর্তিকা যার নাম ‘বিজয় শিখা' (victory flame) তাকে জ্বালানো হবে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে। এরপর সেটি ১১টি টাউন ও শহর ঘুরে এসে পৌঁছবে দ্রাসে। এক আধিকারিকের সূত্রে একথা জানা গিয়েছে।

Advertisement