রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকটি আনুষ্ঠানিক না হওয়ায় তার ফলাফলের কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে না।(প্রতীকি ছবি)
রাষ্ট্রসংঘ: ৩৭০ ধারা নিয়ে ভারতের জাতীয় অবস্থান যা ছিল, এবং সেটাই থাকবে, এটি পুরোপুরিই অভ্যন্তরীণ বিষয়, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহারের পর, রাষ্ট্রসংঘের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর প্রতিক্রিয়া দিল এমনটাই জানাল ভারত। সবসময়ের সঙ্গী চিনের সমর্থনে পাকিস্তানের তরফে “রুদ্ধদ্বার আলোচনার” আবেদনের পরেই, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকা হয়। রাষ্ট্রসংঘে নিরাপত্তা বিষয়ক দফতরে ভারতের স্থায়ী দূত সৈয়দ আকবরউদ্দিন বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ধীরে ধীরে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বদ্ধপরিকর সরকার এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার পদক্ষেপ করছে সরকার। তিনি বলেন, “অন্য কোনও বিষয় নেই, ভারত সরকারের নেওয়া সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত এবং আমাদের আইনসভা সুনিশ্চিত করতে চায়, যাতে ভাল পরিষেবা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়া যায় জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের বাসিন্দাদের”।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তোপ দেগে আকবরউদ্দিন বলেন, তারা চেষ্টা করছে, সতর্কতামূলক পরিস্থিতি তুলে ধরতে, যা প্রকৃত সত্য থেকে বহুদূরে। পাকিস্তানের নাম না করে তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট উদ্বেগ হল, জিহাদ শব্দটি ব্যবহার করছে একটি রাষ্ট্র এবং তাদের নেতাসহ ভারতে সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে”।
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকটি আনুষ্ঠানিক না হওয়ায় তার ফলাফলের কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে না। বৈঠকে হাজির হয়নি ভারত ও পাকিস্তান, এই বৈঠকে যোগ দিতে পারে পাঁচটি স্থায়ী এবং ১০টি অস্থায়ী সদস্য।
রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান, উভয়েরই একতরফা পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকা উচিত বলে মনে করে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। চিনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন বলেন, কাশ্মীরের পরিস্থিতি এমনিতেই খুবই উত্তেজনাপূর্ণ এবং বিপজ্জনক”।
পাকিস্তানের খুবই ঘনিষ্ঠ সহযোগী রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চিন।
৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে ভাগ করার ঘোষণা করে।
বৈঠকে ঢোকার আগে রাশিয়ার ডেপুটি স্থায়ী সদস্য দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেন, মস্কো মনে করে এটি ভারত ও পাকিস্তানের “দ্বিপাক্ষিক বিষয়”।
তিনি বলেন, কী হচ্ছে, সেটা জানার জন্যই বৈঠকে আয়োজন করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “সেই কারণেই রুদ্ধ-বৈঠক। রাশিয়া যা ভাবছে সেটা হল, পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে---আমরা ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়ের পক্ষে। আপনারা জানেন, আমাদের অবস্থান। এর বদল হবে না। আজ, রুদ্ধদ্বার আলোচনা হবে এবং আমরা মত বিনিময় করব এবং দেখব আমরা কী করতে পারব এবং কী করতে পারব না। এটা স্বাভাবিক বিষয়”।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা নিয়ে রাশিয়া উদ্বিগ্ন কিনা, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আমরা এটা এড়িয়ে চলার ব্যাপারে আশাবাদী”।