தமிழில் படிக்க हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Jun 26, 2020

পারস্পরিক সমঝোতার নিয়মকে লঙ্ঘন করেছে চিনের সেনা, বলল কেন্দ্র

ভারত ও চিনের মধ্যে এর আগে চুক্তি হয় যে দুই দেশই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নূন্যতম সেনা মোতায়েন করে নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Highlights

  • দুই দেশের মধ্যে বর্তমানের উত্তেজনার জন্যে চিনের ঘাড়েই দোষ চাপাল ভারত
  • বিদেশমন্ত্রকের অভিযোগ, চিন দু'দেশের মধ্যেকার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে
  • উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে যে, সীমান্তে সামরিক কার্যকলাপ বাড়াচ্ছে চিন
নয়া দিল্লি:

লাদাখে (Ladakh Crisis) ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিল যে,  এই বছর ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় একেবারে অন্যরকম আচরণ করেছে চিন। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন (Centre On Ladakh) যে, চিনা সেনারা পারস্পরিক সমঝোতার (India China) সমস্ত নিয়মকে অবজ্ঞা করেছে। মন্ত্রক একথাও জানিয়েছে যে, লক্ষ্য করা গেছে, চলতি বছরের মে মাসের শুরু থেকেই চিন এলএসি-র কাছাকাছি প্রচুর পরিমাণে সেনা মোতায়েন করেছে। এই কার্যকলাপের মাধ্যমেও তারা দু'দেশের মধ্যে থাকা দ্বিপাক্ষিক চুক্তির লঙ্ঘন করেছে। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের আশঙ্কা, বর্তমান পরিস্থিতি যদি অব্যাহত থাকে তবে সীমান্তের পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক কর্নেল সহ ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান। ওই সংঘর্ষের সময় জখম হন আরও ৭৬ জন ভারতীয় জওয়ানও।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক বলেছে যে, চিন যেভাবে এই অঞ্চলে আরও বেশি করে সেনা মোতায়েন করছে তাতে দু'দেশের মধ্যে শান্তিরক্ষার্থে ৬ জুন যে চুক্তি করা হয়েছিল তা লঙ্ঘিত হয়েছে। দুই দেশের মেজর জেনারেল স্তরে হওয়া ওই বৈঠকে ঠিক হয়েছিল যে এলএসির কাছে থাকা চিনা ছাউনিটি সরিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় তা হয়নি। কেননা অধিগৃহীত জমি থেকে চিনা সেনারা সরে গেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতেই ১৫ জুন শহিদ কর্নেল বিএল সন্তোষ বাবুর নেতৃত্বে এলাকা পরিদর্শনে বেরোয় ভারতীয় বাহিনী। তাঁর সঙ্গে ছিল প্রায় ১০০ জন জওয়ান। এর পরেই তাঁরা ১৫,০০০ ফুট উচ্চতায় গালোয়ান উপত্যকা এলাকা গিয়ে দেখে সেখানে দিব্যি তাঁবুতে ঘাঁটি গেড়ে বসে লালফৌজ। তাঁদের বের করে সেই তাঁবু ভাঙতে শুরু করে ভারতীয় বাহিনী। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কিছু তাঁবুতে। এতেই বিপদ বুঝে কাঠের তক্তা, লোহার রড, কাটা তার জড়ানো বাটাম-সহ আরও চিনা সেনা জড়ো হয় গালোয়ান এলাকায় । শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ।

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন যে মে মাসের পর থেকে যেভাবে চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা মোতায়েন বাড়াতে চাইছে, তাতে ১৯৯৩ সালে হওয়া ভারত-চিন সমঝোতা চুক্তি লঙ্ঘন হয়। কারণ সেই চুক্তিতে ছিল যে, ভারত ও চিন দুই দেশই সীমান্তে ন্যূনতম সেনা মোতায়েন করবে। কিন্তু প্রতিনিয়ত সেই স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করছে, একথাও বলে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক।

Advertisement

Advertisement