সরকার নিয়মিত বেড়া বাঁধার কাজটিতে নজরদারি চালাচ্ছে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের (India-Bangladesh Border) অনেক স্থানে বেড়া (Fencing) দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না নানা কারণে। এর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বা বিজিবির আপত্তি। বুধবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের হয়ে এই কথা জানান ত্রিপুরা লোকসভার সদস্য প্রতিমা ভৌমিক। তিনি জানিয়েছেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১,৮৮০ কিমি সীমান্তবর্তী অঞ্চল চারটি রাজ্যে যথা ত্রিপুরা (৮৫৬ কিমি), মেঘালয় (৪৪৩ কিমি), মিজোরাম (৩১৮ কিমি) ও অসম (২৬৩ কিমি) বিভক্ত। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে তিনি ফোনে বলেন, ‘‘বাংলাদেশের ১,৮৮০ কিমি সীমান্ত, টা ভারতের উত্তর-পূর্বের চারটি রাজ্যে পড়েছে, এর মধ্যে ১,৪৭৭ কিমিতে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। বাকি ৪০৩ কিমির মধ্যে উচ্চ প্রযুক্তি দ্বারা সমাধান (৬২ কিমি) ও সরাসরি বেড়া (৩৪১ কিমি) দেওয়া সম্ভব।''
কাশ্মীরে নিহত শ্রমিকদের গ্রামে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
নিত্যানন্দ রাইকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘‘এই বেড়া দেওয়ার কাজটা সমস্ত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সম্ভব হচ্ছে না। এর প্রধান কারণ বিজিবির বাধা। এছাড়াও কোথাও দুর্গম অঞ্চল, দীর্ঘ বর্ষার প্রকোপ, জমি অধিগ্রহণ সমস্যা বা কোনও কোনও অঞ্চলে কিছু মানুষের বাধা কাজের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।''
‘‘নাগরিকত্বের জন্য ধর্মীয় পরীক্ষা'': অসমের এনআরসি নিয়ে মার্কিন প্যানেল
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সংসদের সদস্যকে আরও জানিয়েছেন, সরকার নিয়মিত বেড়া বাঁধার কাজটিতে নজরদারি চালাচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব বেড়া দেওয়া শেষ করাই লক্ষ্য বলে জানান তিনি।
গত মার্চে পশ্চিম অসমের ধুবড়ি জেলায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তৃতীয় ‘‘স্মার্ট'' বেড়া দেওয়ার প্রকল্প শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার। গত বছর লঞ্চ হওয়া দু'টি প্রকল্পে এভাবেই ১০ কিমি বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়েছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে। এই বেড়া দেওয়া হয় সিআইবিএমএস পদ্ধতির সাহায্যে।
বিএসএফ-এর এক বর্ষীয়ান আধিকারিক আইএএনএস-কে জানিয়েছেন, সিআইবিএমএস ইনফ্রা রেড, রাডার ইত্যাদি নানা নজরদারি প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যবহার করা হয়।
ভারতের পাঁচটি রাজ্য বাংলাদেশের সীমান্তর সঙ্গে সংলগ্ন। এর মধ্যে রয়েছে এই রাজ্যও। পশ্চিমবঙ্গে পড়েছে ২,২১৬.৭ কিমি। মোট সীমান্তবর্তী এলাকার পরিমাণ ৪,০৯৬.৭০ কিমি।
ওই বিএসএফ আধিকারিক দাবি করেন, বেড়া দেওয়া ও দু' দেশের মধ্যে বোঝাপড়ার কারণে সীমান্তে বেআইনি ব্যবসা বা সীমান্ত পেরিয়ে এপার ওপার করার মতো ঘটনা আগের থেকে অনেক কমেছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)