Antonio Guterres বলেন, ভারত-পাকিস্তান রাজি থাকলে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করতে পারেন তিনি
হাইলাইটস
- কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব
- দুই দেশ রাজি থাকলে তিনি মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত, বলেন আন্তোনিও গুতারেজ
- তবে মধ্যস্থতার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক
নয়া দিল্লি: কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতার কথা না ভেবে বরং পাকিস্তানের "অবৈধভাবে জোর-জবরদস্তি করে দখল করা" অঞ্চলগুলি খালি করার দিকে মনোনিবেশ করুক রাষ্ট্রসংঘ, মধ্যস্থতার প্রস্তাব ফিরিয়ে সাফ জানালো ভারত। এর আগেও বেশ কয়েকবার ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে কোনওরকম মধ্যস্থতার প্রস্তাব মেনে নেওয়া হবে না। তা সত্ত্বেও কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত এবং পাকিস্তানের (India-Pakistan) মধ্যে প্রয়োজনে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতারেজ। বর্তমানে পাকিস্তান সফরে রয়েছেন তিনি (Antonio Guterres)। সেখানেই ইসলামাবাদে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশীর সঙ্গে বৈঠক করেন মহাসচিব (UN Chief)। বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে জম্মু-কাশ্মীর পরিস্থিতি এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চলমান উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ (UN Chief On India-Pakistan) প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে।
পাকিস্তানকে পাশে চায় না ভারত! কাশ্মীর প্রশ্নে মার্কিন সেনেটরের প্রস্তাব ফেরালেন S Jaishankar
সম্প্রতি চারদিনের পাকিস্তান সফরে এসে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতারেজ বলেন, ভারত-পাকিস্তান রাজি থাকলে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করতে পারেন তিনি। এই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রভীশ কুমার বলেন, "ভারতের অবস্থান পরিবর্তন হয়নি। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ আছে এবং ভবিষ্যতেও অংশ হয়েই থাকবে। রাষ্ট্রসংঘের বরং যে বিষয়টির দিকে নজর দেওয়া দরকার তা হল, অবৈধভাবে এবং জোর করে পাকিস্তান যে অঞ্চলগুলি দখল করে রেখেছে সেগুলি তাদের হাত থেকে দখলমুক্ত করা"। "প্রয়োজনে এ নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে, কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার কোনও ভূমিকা বা সুযোগ নেই", জানান বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র।
"নাক গলাবেন না", কাশ্মীর ইস্যুতে তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে কড়া বার্তা ভারতের
রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব বলেন, ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশেরই উচিত সামরিক উত্তেজনা হ্রাস করা এবং কাশ্মীর ইস্যুতে 'বৃহত্তর সংযম' দেখানো জরুরি ছিল। গুতারেজ বলেন,"রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের সঙ্গে মিল রেখে সমাধানের লক্ষ্যে এখন শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার একমাত্র উপায় এখনও কূটনীতি এবং পারস্পরিক কথোপকথনই"। তিনি বলেন যে, দুই দেশই যদি একমত হয় তবে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।