জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার (JNU Violence) ঘটনার নিন্দা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর
নয়াদিল্লি: রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার (JNU Violence) ঘটনার নিন্দা করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তথা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) । ট্যুইটে তিনি লেখেন, “জেএনইউ এর ঘটনার ছবি দেখেছি। স্পষ্ট ভাষায় হিংসার নিন্দা করছি। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে”। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর, এমফিল এবং জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যলয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পিএইচডি।
ট্যুইট করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতরামনও।তিনি লেখেন, “জেএনইউ এর বিষ্ময়কর ছবি-আমি জানি জায়গাটি খোলা বিতর্ক এবং মতামতের, তবে হিংসার নয়। আজকের ঘটনার আমি স্পষ্ট নিন্দা করছি। এই সরকার, গত কয়েক সপ্তাহে বলা কথা অগ্রাহ্য করে, সমস্ত পড়ুয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপদ করে তুলতে চায়”।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বক্তব্য, হামলাকারীরা এখনও ক্যাম্পাসেই রয়েছে, তারা সম্পত্তি নষ্ট করেছে এবং মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে, পুলিশ ডাকা হয়েছে। ছাত্র সংসদের অভিযোগ, ঘটনায় জড়িত রয়েছে এবিভিপি।
এবিভিপির অভিযোগ, তাদের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। পরে এদিন সন্ধ্যায় পুলিশ জানিয়েছে, ক্যাম্পাসে ফ্ল্যাগমার্চ করেছে তারা এবং “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে”। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের খবর, দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমূল্য পট্টনায়েকের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং মন্ত্রকে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।
একটি বার্তা, জেএনইউ প্রশাসনের তরফে শান্তির আবেদন করা হয়েছে। রেজিস্ট্রারের তরফে করা বার্তায় বলা হয়েছে, “শান্তি রক্ষার্থে পুলিশ ডেকেছে জেএনইউ প্রশাসন। অশান্তি বন্ধ করতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে”।
ছাত্র সংসদে সহসভাপতি সাকেট মুন দাবি করেন, প্রতিটি রুমে যাচ্ছিলল তারা, “পড়ুয়াদের ওপর নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছিল”। তিনি বলেন, যদিও তারপরেও, “নীরব দর্শক” হয়েছিল নিরাপত্তারক্ষীরা।