এনডিটিভি জানতে পেরেছে এই বিবৃতি আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল চিন
হাইলাইটস
- কাশ্মীরের জঙ্গি হানা প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিল নিরাপত্তা পরিষদ
- নিন্দা করতে গিয়ে জঙ্গি সংগঠন জইশ- ই- মহম্মদ-এর নাম উল্লেখ করল তারা
- এনডিটিভি জানতে পেরেছে এই বিবৃতি আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল চিন
নিউ দিল্লি: কাশ্মীরের জঙ্গি হানা (pulwama attack) প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিল রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC)। এই ঘটনার (pulwama attack) নিন্দা করতে গিয়ে জঙ্গি সংগঠন জইশ- ই- মহম্মদ-এর নাম উল্লেখ করল তারা। তবে এনডিটিভি জানতে পেরেছে চিনের তরফ থেকে চেষ্টা করা হয়েছিল যাতে জইশের নাম উল্লেখ করা না হয়। এক বিবৃতিতে পর্ষদ বলেছে, কাপুরুষের মতো আঘাত হেনে কাশ্মীরে চল্লিশেরও বেশি সিআরপিএফ জওয়ানকে হত্যা করা হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদ কড়া ভাষায় এই হামলার বিরোধিতা করছে। ঘটনার দায় নিয়েছে জঙ্গি সংগঠন জইশ- ই- মহম্মদ। পরিষদের সমস্ত সদস্য-রাষ্ট্রকে নিজেদের বাধ্যবাধকতাকে দূরে সরিয়ে রেখে ভারত সরকারকে সাহায্য করতে হবে। সূত্র থেকে এনডিটিভি জানতে পেরেছে এই বিবৃতি আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল চিন। বিবৃতিতে কয়েকটি পরিবর্তনের কথা তারা বলেছিল। প্রথমত বিবৃতিতে জইশ- এর নাম থাক সেটা চিন মোটেই চায়নি।
মাস ছয়েক পর ভরা বসন্তে বাঙালির কাছে ফিরে এল ‘প্রিয়া'
তাছাড়া ঘটনাটি কাশ্মীরে ঘটেছে এটা লেখা নিয়েও আপত্তি ছিল চিনের। তারা চেয়েছিল ‘ভারত শাসিত কাশ্মীর' কথাটা লেখা হোক। আর তাছাড়া ভারত সরকারকে সাহায্য করার বিষয়টিকে বাধ্যতামূলক না করে আবেদন হিসেবেই পেশ করতে চেয়েছিল চিন। তবে সেটা হয়নি।
পাকিস্তানের দুই শুটারকে ভিসা না দেওয়ায় ভারতকে শাস্তি দিচ্ছে অলিম্পিক কমিটি
চিন চিরকাল পাকিস্তানের পাশে থাকে। শুধু এবারের ঘটনা নয় এর আগেও এ ধরনের কাজ করেছে বেজিং। আদতে শেষ তিন বছর ধরে চিনের আপত্তিতেই পুলওয়ামা-সহ ভারতে হয়ে যাওয়া একাধিক জঙ্গি হানার মাস্টার মাইন্ড মৌলানা মাসুদ আজাহারকে রাষ্ট্রসঙ্ঘ ঘোষিত জঙ্গি-র তকমা দেওয়া যাচ্ছে না। তবে পুলওয়ামার হামলার পর নিহত জওয়ানদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছিল চিন।
হামলার পর থেকেই পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে ভারত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে এ ব্যাপরে জানিয়েছে ভারত। এর পাশাপাশি বিশেষ বাণিজ্যিক তকমা ফিরিয়ে নিয়েছে দিল্লি। শুধু তাই নয় পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা যে কোনও জিনিসের উপর ২০০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপান হয়েছে। তবে হামলার সঙ্গে কোনও রকম দায় আছে বলে মানতে রাজি হয়নি পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন জঙ্গি হামলার সঙ্গে পাকিস্তান জড়িত এমন কোনও প্রমাণ ভারতের কাছে নেই। তবু তারা পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করছে।