আজ শবরীমালা নিয়ে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন পিনারাই বিজয়ন।
হাইলাইটস
- রজঃস্বলা হওয়ার বয়সে মহিলারা প্রবেশ করতে পারবেন কি না, তা নিয়েই বৈঠক
- ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে দু'মাস ব্যাপী তীর্থযাত্রা
- শবরীমালাতে সমস্যা সৃষ্টির জন্য বিজেপি ও আরএসএসকে দায়ী করেন বিজয়ন
শবরীমালা, কেরালা: কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন শবরীমালা নিয়ে। সেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেল কংগ্রেস ও বিজেপি। যে যে মহিলাদের শারীরিকভাবে রজঃস্বলা হওয়ার বয়স রয়েছে, তাঁরা দু'মাসের মণ্ডলা মাক্কারাভিলাক্কুতে অংশ নিতে পারবেন কি না, তা নিয়েই ছিল এই বৈঠক। শবরীমালাতে এই বিশেষ তীর্থযাত্রা শুরু হবে আগামীকাল অর্থাৎ ১৭ নভেম্বর থেকে। "আমাদের দেখতে হবে মহিলাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট দিন ঠিক করা সম্ভব কি না। এটা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্ট গত ২৮ সেপ্টেম্বর পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, শবরীমালা মন্দিরে ঢুকতে পারবেন মহিলারা। রাজ্য সরকার এই রায়ের বিপক্ষে কোনওভাবেই মন্তব্য করবে না৷ যদিও, আমরা যে সমস্ত ভক্তদের মনোভাবকেই শ্রদ্ধা করি সে কথাটিরও উল্লেখ করে রাখা প্রয়োজন এক্ষেত্রে", দুই বিরোধী দল বৈঠক বয়কট করার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই কথা বলেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী।
গত কয়েকদিন ধরেই বিবিধ সংঘর্ষের মুখোমুখি হয়েছে শবরীমালা। কেরালা পুলিশের ওয়েবসাইটে গত সাতদিনে ৫০০'র বেশি অল্পবয়সী মহিলা শবরীমালা মন্দিরে ঢুকে বিগ্রহ দর্শনের জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন।
মানবাধিকার কর্মী ত্রুপ্তি দেশাই এই নিয়ে চিঠিও লেখেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। যেখানে স্পষ্ট বলা রয়েছে, " আমি কেরালা সরকারের কাছ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাইনি। তবে, এই কথাটি সাফ জানিয়ে রাখি যে, কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায় নিতে হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ প্রধানকে"।