This Article is From Jan 15, 2019

তৃণমূলের উনিশের সমাবেশে আসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়নি কংগ্রেস, সংশয় মায়ার দলের উপস্থিতি ঘিরেও

তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দেওয়ার ব্যপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি কংগ্রেস। বহুজন সমাজ পার্টির অংশগ্রহণ নিয়েও সংশয়ের মধ্যেই আছেন তৃণমূল নেতারা

Advertisement
Kolkata

শোনা  যাচ্ছে নিজে না এসে প্রতিনিধি পাঠাবেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী

কলকাতা:

তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দেওয়ার ব্যপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি কংগ্রেস। বহুজন সমাজ পার্টির অংশগ্রহণ নিয়েও  সংশয়ের মধ্যেই আছেন তৃণমূল নেতারা।  আর মাত্র কয়েকদিন পর ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে বিরাট সভা  করবে  তৃণমূল। তাতে অংশ নিচ্ছে  দেশের বেশ কয়েকটি বিজেপি  বিরোধী দল। কিন্তু কংগ্রেস এই সভায় থাকবে কিনা সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বোঝা যাচ্ছে না। ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকেই এই সমাবেশের কথা ঘোষণা করে দেন  দলনেত্রী মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজে দিল্লি গিয়ে কয়েকটি বিরোধী দলের নেতাকে নিমন্ত্রণও জানিয়ে এসেছেন তিনি। এই সভা যাতে ভালভাবে  হয় তার জন্য কমিটিও তৈরি করে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও সভার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোঁজ খবর রাখছেন। সভায় আসা নিয়ে সোমবার সমাজবাদী পার্টির প্রধান তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের সঙ্গে ফোনে কথাও হয়েছে তাঁর। পরে নবান্ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এরকম একটা সভা সাম্প্রতিক অতীতে হয়নি।

ঘাটতি মেটাতে কলেজ পাস পড়ুয়াদের ইন্টার্ন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করতে চায় রাজ্য: মুখ্যমন্ত্রী

এই সভায় উপস্থিত থাকার ব্যাপারে কারা সম্মতি দিয়েছেন তা তৃণমূলের  তরফে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর টিডিপি, আপ, জেডিএস, এনসিপি, এনসি, ডিএমকের মতো দলগুলি হাজির থাকছে শনিবারের সভায়।

Advertisement

ধর্ম নয়, বর্ণ নয়, এই রাজ্যে উৎসবের ডাকনাম কৃষি, শীতযাপনের নাম ‘মাঘবিহু'

এই সভায় আসার ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কংগ্রেস। শোনা যাচ্ছে নিজে না এসে প্রতিনিধি পাঠাবেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এমনিতেই  প্রদেশ কংগ্রেস চায় না তাদের নেতা তৃণমূলের সভায় উপস্থিত থাকুন। প্রদেশ নেতাদের কাছে তৃণমূলই প্রধান প্রতিপক্ষ।  তাছাড়া শেষমেশ যদি রাহুল না আসেন তার আরেকটি কারণ হবে, তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে তৃণমূলের আপত্তির বিষয়টি। তামিলনাড়ুর  বিরোধী দলনেতা এমকে স্ট্যালিন প্রকাশ্যেই রাহুলকে বিরোধী জোটের মুখ বলে তুলে ধরতে চান। সে সময় আপত্তি করেছিল তৃণমূল । বলেছিল প্রধানমন্ত্রীর নাম ঠিক হবে ভোটের  ফল প্রকাশিত হওয়ার পর।  এছাড়া মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে গড়হাজির ছিলেন না মমতা। পাঠিয়েছিলেন দলের সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে।  সেটাও  রাহুলের না আসার একটা কারণ হতে  পারে।  এখন শেষমেশ শনিবারের সমাবেশে কংগ্রেস সভাপতি বা তাঁর দলের কেউ থাকেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।

Advertisement

 

Advertisement