দেবগৌড়া ও কুমারস্বামী একাধিক বৈঠক করেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আসনবন্টন নিয়ে।
বেঙ্গালুরু: বহুদিন সময় লাগল। তবে, শেষমেশ হয়েই গেল। কর্নাটকে শাসকদল কংগ্রেস এবং জনতা দল সেকুলার আসনবন্টন করে ফেলল নিজেদের মধ্যে। মোট ২৮'টি আসনের মধ্যে ২০'টি আসনে লড়াই করবে কংগ্রেস। ৮'টিতে লড়াই করবে জনতা দল সেকুলার। যে যে লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে লড়াই করবে জনতা দল সেকুলার, সেগুলি হল- শিমোগা, টুমকুর, হাসান, মান্দ্যা, বেঙ্গালুরু উত্তর, উত্তর কন্নড়, চিক্কামাগালুরু এবং বিজয়পুরা। জনতা দল সেকুলারের প্রধান এইচ ডি দেবগৌড়া বলেছিলেন, "কোন কোন আসন এবং কতগুলো করে আসনবন্টন করা হবে কংগ্রেস ও জনতা দল সেকুলারের মধ্যে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। ১৫ মার্চ রাহুল গান্ধী এই বিষয়ে তাঁর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন"।
আরও পড়ুনঃ "কেন সব বুথকে 'স্পর্শকাতর' ঘোষণা করতে হবে?", বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ মমতার
মাইসুরু-কোদাগু আসন নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই দুই দলের মধ্যে তীব্র দড়ি টানাটানি চলছিল। যে আসনটি পেয়েছে কংগ্রেস। এই রাজ্যের দক্ষিণপ্রান্তে এই দুই দলেরই ভালো ভোট রয়েছে। তাই সেখান থেকে জেতার অত্যণ্ত বাস্তব সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।
হাসান এবং মান্দ্যাকে আবার জনতা দল সেকুলারের শক্তিশালী কেন্দ্র হিসাবে দেখা হয় বরাবর। যদিও, দেবগৌড়ার দুই নাতি প্রজ্বল এবং নিখিলকে এই দুই আসন থেকে দাঁড় করানোরয় দলের মধ্যে কিছু বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে।
নিখিল হলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর অভিনেতা পুত্র।