এদিন সকালে কলকাতা ও রাজ্যের কয়েকটা জেলা থেকে বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর মিলেছে।
হাইলাইটস
- স্রমিক সংগঠনগুলোর ডাকে চলছে দেশব্যাপী ভারত বনধ
- সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন বনধের বিরোধিতা।
কলকাতা: যাদের কোনও রাজনৈতিক অস্তিত্ব নেই, তারা বনধ পালন করছে। বুধবার এ ভাষাতেই কংগ্রেস আর বামদলগুলোকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কংগ্রেস, বাম ও অন্য কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনের ডাকে গোটা দেশে ২৪ ঘণ্টার বনধ পালন হচ্ছে। এই উদ্যোগকে বন্ধ্যা রাজনীতি বলে এদিন তোপ দাগেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, যাদের কোনও রাজনৈতিক অস্তিত্ব নেই তারা বনধ ডেকে রাজ্যের অর্থব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চাইছে। পাশাপাশি তাঁর যোগ, 'যে কারণে বনধ ডাকা হয়েছে আমি তাঁর সমর্থক। কিন্তু আমার রাজ্যে বনধ করার অনুমতি দেব না। আমার দল তৃণমূল কংগ্রেসও বনধ-বিরোধী।'
তাঁর যুক্তি যে দল বনধ ডেকেছে তাঁরা রাজ্যে কিংবা দেশে সিএএ, এনআরসি-বিরোধী আন্দোলনে পথে নামেনি। শুধু বনধ ডেকে অর্থব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। মূলত, কেন্দ্রের আর্থিক নীতি, সংশোধিত সিএএ, এনআরসি'র বিরোধ করে বুধবারের এই বনধ। এদিন সকালে কলকাতা ও রাজ্যের কয়েকটা জেলা থেকে বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর মিলেছে।
কলকাতায় একটা পুলিশ গাড়িতে হামলার অভিযোগে সিপিআইএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা সিপিআইএম এদিন বনধ সফল করতে রেল অবরোধ কর্মসূচি নিয়েছিল। সে বিষয়ে আরপিএফ-এর দাবি, যেখানে অবরোধ চলছিল সেখানে রেল লাইন থেকে তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্য পরিবহণ দফতর, বনধে কোনও পরিবহণ পরিষেবা দিতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বীমার ঘোষণা করেছে। হিংসাত্মক কার্যকলাপ আর সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআর দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা বাদে এখনও পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ দেশব্যাপী সাধারণ বনধ।