This Article is From Jan 22, 2020

CAA & NRC: গুণে গুণে মোদি-অমিত শাহের ৯টি মিথ্যে ধরালো কংগ্রেস!

মঙ্গলবারই লখনউয়ের সভা থেকে অমিত শাহ হুঙ্কার ছেড়েছেন যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার করা হবে না, NRC ও CAA নিয়ে ৯টি মিথ্যে কথার তালিকা দিল কংগ্রেস

CAA & NRC: গুণে গুণে মোদি-অমিত শাহের ৯টি মিথ্যে ধরালো কংগ্রেস!

CAA Protests: মোদি সরকারকে নাগরিকত্ব ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ করলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা কপিল সিব্বল

হাইলাইটস

  • কংগ্রেস নাগরিকত্ব আইনকে বিভাজনমূলক বলে উল্লেখ করেছে
  • "সংবিধানে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্বের ব্যবস্থা করা হয়নি", বললেন সিব্বল
  • "এই প্রথমবার ধর্মকে নাগরিকত্বের ভিত্তি করা হয়েছিল"
নয়া দিল্লি:

নাগরিকত্ব আইন (CAA) ও এনআরসি (NRC) নিয়ে এবার সরকারের উপর আরও চাপ বাড়ানোর পথে হাঁটলো বিরোধী দল কংগ্রেস (Congress)। একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল বলেন, ভারতীয় সংবিধানে পাঁচটি ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধান রয়েছে যাতে ধর্মের কোনও ভূমিকা নেই। তিনি বলেন যে, দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার ধর্মকে নাগরিকত্বের ভিত্তি করা হয়েছে এবং এই পদ্ধতি বিভাজনমূলক। এদিকে মঙ্গলবারই লখনউয়ের সভা থেকে অমিত শাহ হুঙ্কার ছেড়েছেন যে বিরোধীরা যতই চেষ্টা করুন না কেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act) প্রত্যাহার করা হবে না। তিনি (Amit Shah) বলেন, "কংগ্রেস, তৃণমূল, মায়াবতী, সমাজবাদী পার্টি এবং কমিউনিস্টরা এই আইনটি নিয়ে কা-কা করে চিৎকার করছে। আমি এই বিলটি সংসদে উপস্থাপন করেছি এবং আমি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি যে এর যে কোনও একটি বিভাগেও যদি কোনও ব্যক্তির নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে তবে তা আমাকে দেখান"।  

CAA: সুপ্রিম কোর্টে আজ নাগরিকত্ব আইন সংক্রান্ত ১৪০ টিরও বেশি আবেদনের শুনানি

কপিল সিব্বল বলেন CAA নিয়ে ৯টি মিথ্যে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী:

প্রথম মিথ্যে: প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে CAA বিভাজনমূলক নয়। কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল বলেন, ভারতীয় সংবিধানে পাঁচটি ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধান রয়েছে যাতে ধর্মের কোনও ভূমিকা নেই। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনেও একই বিধান রয়েছে।

দ্বিতীয় মিথ্যে: মোদি-শাহ জুটি বলেছেন NRC-র সঙ্গে CAA -র কোনও যোগাযোগ নেই। অথচ ২০১৯ সালের এপ্রিলেই অমিত শাহ বলেন যে সিএবি প্রথমে আসবে, তারপরে এনআরসি আসবে। ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বরও অমিত শাহ লোকসভায় সিএবি পাস করার পরে দেশব্যাপী এনআরসি চালু হওয়ার কথা বলেছিলেন। এ জাতীয় পরিস্থিতিতে CAA-NRC-র যোগ করা যায় না।

তৃতীয় মিথ্যে: মোদি ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর একটি সভায় বলেন যে তাঁর সরকার আসার পরে NRC নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। যেখানে ২০ জুন, ২০১৯-এ সংসদের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণে এনআরসি-র প্রাথমিক বাস্তবায়ন করার কথা ছিল।

চতুর্থ মিথ্যে: NRC প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে সবাইকে ঠিকভাবে জানানো হয়নি এবং এটি আইনি প্রক্রিয়াও নয়। এটি সম্পূর্ণ অসত্য, কারণ ২০০৩ সালে যখন এনআরসি গৃহীত হয়েছিল, তখন এর ১৪ অনুচ্ছেদে (এ) উল্লেখ করা হয় যে এটি আইনি এবং দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্যে একটি পরিচয়পত্র দেওয়ার কথা রয়েছে।

পঞ্চম মিথ্যে: NRC এখনও শুরু হয়নি, অথচ এনআরসি প্রয়োগের বিজ্ঞপ্তিটি গত বছরের ১ এপ্রিল থেকেই জারি করা হয়েছে।

ষষ্ঠ মিথ্যে: NRC-র সঙ্গে NPR-এর কোনও সম্পর্ক নেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৮-১৯-এ বলা হয়েছিল যে, 'এনপিআর এনআরসি বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ'।

সপ্তম মিথ্যে: বলা হচ্ছে যে, একজন ভারতীয়ের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, আমাদের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন সাহেবের পরিবারের সদস্য, কারগিল যুদ্ধের পুরষ্কার বিজয়ী সানাউল্লাহ খানের নাম অসমের এনআরসি তালিকায় রাখা হয়নি। এখন এমন পরিস্থিতিতে যে মানুষটির নাম উধাও হয়ে গেছে, সে কী করবে?

অষ্টম মিথ্যে: মোদি বলেছেন যে দেশে কোনও ডিটেনশন সেন্টার নেই। অন্যদিকে, একমাত্র অসমেই ৯৮৮ জনকে আটক করে সেখানে রাখা হয়েছে । ২০১৯ সালের জানুয়ারিতেই ভারত সরকার ডিটেনশন সেন্টার স্থাপনের নির্দেশ দেয়।

নবম মিথ্যে: বিক্ষোভ আটকাতে কোনও বলপ্রয়োগ করা হয়নি। অথচ শুধু উত্তরপ্রদেশেই ২৮ জন মারা গেছেন। মানুষের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, দোকানপাট পোড়ানো হয়েছে, ঘরে ঘরে ঢুকে লোকজনকে মারা হয়েছে এবং এ নিয়ে লাগাতার মিথ্যে বলে চলেছে বিজেপি সরকার ।

CAA: "হোক বিতর্ক", মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধিকে অমিত শাহের চ্যালেঞ্জ

কপিল সিব্বল বলেন যে ১৮৯৩ সালে স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, 'আমি গর্বিত যে আমি সেই দেশের বাসিন্দা, যা বিশ্বের সমস্ত দেশে ধর্মান্ধতার শিকারদের আশ্রয় দেয়।' এখন যাঁদের বিচক্ষণতা নেই, তাঁরা আর স্বামীজিকে নিয়ে কী কথা বলবে। কংগ্রেস নেতা বলেন যে "আজ গীতা গোপীনাথ বলেছেন যে আইএমএফ অনুসারে আমাদের বৃদ্ধির হার হবে ৪.৮%। এছাড়াও, তিনি আরও বলেছেন যে এই বিষয়টি বিশ্ব অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। একইভাবে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদক্ষেপগুলি আমাদের গণতন্ত্রের জন্য বিপর্যয়কর। তবে এই সরকার যদিও মনে করে যে দেশে কোনও সমস্যা নেই।"

.