This Article is From Feb 20, 2020

নেতৃত্বে বদল চাই কংগ্রেসে, শীলা দীক্ষিতের পুত্রের সঙ্গে সহমত শশী থারুরও

শশী থারুর লেখেন, ‘‘যা সন্দীপ দীক্ষিত সরাসরি বলছেন তা বহু দলীয় নেতারাই ব্যক্তিগত স্তরে বলছেন। তাঁদের মধ্যে দলে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরাও রয়েছেন।

নেতৃত্বে বদল চাই কংগ্রেসে, শীলা দীক্ষিতের পুত্রের সঙ্গে সহমত শশী থারুরও

কংগ্রেসের নেতা নির্বাচন চান শশী থারুর। (ফাইল)

হাইলাইটস

  • কংগ্রেস নেতৃত্বে বদল চান প্রাক্তন সাংসদ সন্দীপ দীক্ষিত
  • তাঁকে সমর্থন করে টুইট শশী থারুরের
  • এবারের দিল্লি নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রাপ্তি শূন্য
নয়াদিল্লি:

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে (Delhi Election 2020) কংগ্রেসের (Congress) ভরাডুবির পরে বহু কংগ্রেস নেতা তাঁদের মতো করে এই বিপর্যয়ের কারণকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। উঠে এসেছে দলের ভিতরের অবক্ষয়ের কথা। প্রশ্ন উঠেছে দলের নেতৃত্ব নিয়েও। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (Shashi Tharoor) বৃহস্পতিবার একটি সংবাদপত্র্রের প্রতিবেদন টুইট করেন। সেখানে প্রাক্তন সাংসদ সন্দীপ দীক্ষিতের উদ্ধৃতি তুলে তিনি জানান, যা সন্দীপ বলেছেন সেকথা দলের বহু নেতাই বলছেন। তবে তাঁরা প্রকাশ্যে না বলে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সেকথা জানিয়েছেন। শশী থারুর লেখেন, ‘‘যা সন্দীপ দীক্ষিত সরাসরি বলছেন তা সারা দেশের বহু দলীয় নেতারাই ব্যক্তিগত স্তরে বলছেন। তাঁদের মধ্যে দলে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরাও রয়েছেন। আমি কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটিকে আমার আবেদন জান‌িয়েছি নেতা নির্বাচনের বিষয়ে, যাতে কর্মীরা চনমনে হয়ে ওঠেন এবং ভোটারদের উৎসাহ দিতে পারেন।''

দিল্লি নির্বাচনের প্রচারে হোয়াটসঅ্যাপে ‘ডিপ ফেক' ভিডিও শেয়ার করেছিল বিজেপি

কিন্তু সন্দীপের সরাসরি নেতৃত্ব বদলের প্রসঙ্গকে ভালভাবে নিচ্ছেন না কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরযেওয়ালা জানিয়েছেন, ‘‘যদি সন্দীপ এটা টুইটারে না লিখে কাজে এটা প্রতিফলিত করতেন তাহলে তিনি দিল্লিকে বদলে দিতে পারতেন। জ্ঞান দেওয়ার পরিবর্তে ভাল কাজ করার দিকে মনঃসংযোগ করা দরকার।''

২০১৩ সাল পর্যন্ত টানা তিনটি পর্যায়ে দিল্লির শাসক দল থাকা কংগ্রেস ৭০ সদস্যের দিল্লি বিধানসভায় একটিও আসনে জিততে পারেনি। কেবল তাই নয়, এর মধ্যে ৬৩টি কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থীদের জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

নির্ভয়া কাণ্ডের অন্যতম অপরাধী বিনয় শর্মার মাথায় চোট, চিনছে না মা'কেও, দাবি আইনজীবীর

নির্বাচনে আম আদমি পার্টির জয়ের পরে তাদের কাছে বিজেপির পরাজয়কে মাথায় রেখে অনেক কংগ্রেস নেতা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এর থেকেও বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

এরই মধ্যে ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শীলা দীক্ষিতের পুত্র দিল্লির প্রাক্তন সাংসদ সন্দীপ দীক্ষিত জানিয়েছেন, কংগ্রেসের কাছে এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল নেতৃত্বের বিষয়টি। তি‌নি বলেন, অন্তত ছয় থেকে আটজন কংগ্রেস নেতা রয়েছেন যাঁরা দলের নেতৃত্ব দিতে পারেন। কিন্তু তাঁর মতে, ‘‘কখনও কখনও আপনি নিষ্ক্রিয়তাই চান। কেননা আপনি কোনও নির্দিষ্ট পদক্ষেপ করতে চাইছেন না।''

তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতি হল ম্যাডাম (সনিয়া গান্ধি) গান্ধি একজন অন্তর্বর্তী সভাপতি। রাহুল গান্ধি সভাপতি থাকতে চান না। তাই তাঁর অবস্থানকে সম্মান জানিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।''

.