Congress: সভানেত্রী দলবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করেন (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা করল কংগ্রেস
- এর আগে টুইটারে সনিয়া গান্ধির উদ্দেশে নিজের ইস্তফাপত্র শেয়ার করেন সিন্ধিয়া
- দলে থেকে কাজ করতে পারছিলেন না, কংগ্রেস ছাড়ার কারণ দেখান তিনি
ভোপাল: "দল বিরোধী" কাজ করার অভিযোগে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে বহিষ্কার করার ঘোষণা করল কংগ্রেস (Congress), দলের প্রবীণ নেতা কেসি ভেনুগোপাল এক বিবৃতি দিয়ে জানান এই সিদ্ধান্ত । তার আগেই অবশ্য কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির (Sonia Gandhi) কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি (Jyotiraditya Scindia)। টুইটারের মাধ্যমে নিজের পদত্যাগের চিঠিটি শেয়ার করে নেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই দেশের সর্বপ্রাচীন রাজনৈতিক দলটির তরফ থেকে এই পদক্ষেপের ঘোষণা করা হয়। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ভেনুগোপাল এক বিবৃতিতে বলেন, "কংগ্রেস সভানেত্রী দলবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস থেকে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছেন।"
মোদি-অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর কংগ্রেস ছাড়লেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
এদিকে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধিকে উদ্দেশ্য করে লেখা তাঁর ইস্তফাপত্রে জ্যোতিরাদিত্য লেখেন,"বরাবরই আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল আমার রাজ্য ও দেশের জনগণের সেবা করা, কিন্তু আমি মনে করছি এই দলের মধ্যে থেকে সেই কাজ আর আমি করতে পারছি না"।
একটি সূত্র জানিয়েছে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেওয়ায় এবার কংগ্রেসের ২০ জন বিধায়কও মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় তাঁদের পদত্যাগ পত্র জমা দেবেন। আর আগে অভিযোগ ওঠে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া তাঁর ঘনিষ্ঠ ৬ জন মন্ত্রী সহ মোট ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়ককে বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে চার্টার্ড বিমানে করে উড়িয়ে নিয়ে গেছেন।
কমলনাথ মন্ত্রিসভার সদস্যদের ইস্তফা, “ওদের জয়ী হতে দেব না”: কমল নাথ
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরেই জ্যোতিরাদিত্যের গেরুয়া শিবিরে (BJP) যোগ দেওয়ার গুঞ্জন আরও প্রবল হয়। কেউ কেউ বলছেন, মঙ্গলবারই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন মাধবরাও সিন্ধিয়ার ছেলে (Jyotiraditya Scindia)। বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যসভার মনোনীত প্রার্থীও হতে পারেন তিনি, সূত্রের খবর এমনটাই। পাশাপাশি এর ফলে সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশের কমল নাথ সরকার।