সূত্র জানিয়েছে উপমুখ্যমন্ত্রী পদটি পাওয়ার জন্য রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন ডি কে শিবকুমার
বেঙ্গালুরু:
কংগ্রেস প্রধান রাহুল গান্ধী কর্নাটকে দলের বরিষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকরেন, এইচডি কুমারস্বামী -এর নেতৃত্বে সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়, আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যেখানে উভয় দলই একসঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক। সোনিয়া গান্ধীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাঁর বিদেশ ভ্রমণের কারণে মুলতুবি থাকা বিষয়টির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কুমারস্বামীর শপথগ্রহণের দু'সপ্তাহ পরে জোটশরিক কংগ্রেস তাদের মন্ত্রীত্বের পদগুলি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিল। এই অশান্তির পিছনের আসল মাথাটি হলেন- ডি কে শিবকুমার। কংগ্রেসের এক সময়ের সবথেকে বড়ো ক্রাইসিস ম্যানেজারই রাজ্য নির্বাচনে ত্রিশঙ্কু হওয়ার পরে দলের কাছে সবথেকে বড়ো বাধা হয়ে উঠেছিলেন।
56 বছর বয়সী শিবকুমার উপমুখ্যমন্ত্রী পদটি চেয়েছিলেন। কিন্তু, সূত্র জানায়, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকের পর তিনি দুই উপমুখ্যমন্ত্রীর নীতি মেনে নেন। সেচ দফতর এবং স্বাস্থ্যশিক্ষার দফতরটি সম্ভবত পাবেন তিনি।
কংগ্রেসের জি পরমেশ্বর উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর আরও একজনের উপমুখ্যমন্ত্রীত্ব নেওয়ার ব্যাপারটি নিয়ে প্রবল বিরোধিতা করেন রাজ্যের কুমারস্বামী এবং তাঁর দল জেডিএস। সাতবারের বিধায়ক শিবকুমার মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর মতোই ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের মানুষ।
শিবকুমারকে তাঁর দলের পক্ষ থেকে বোঝানো হয় যে ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের দুজন মানুষকে শীর্ষ পদে বসালে বাকিরা অখুশি হবে। যা কাম্য নয়। যদিও, রাহুল গান্ধী বোঝানোর পরেও শিবকুমার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আশা ছাড়েননি। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে যে, রাজ্য কংগ্রেস সভাপতির পদটি তাঁকে দেওয়া হতে পারে।
যদিও সমস্যার এখানেই শেষ নয়। শোনা যাচ্ছে, তাঁর দুটো দফতরের মন্ত্রীত্ব পাওয়া নিয়ে রাজ্য কংগ্রেসের অনেকেই অসন্তুষ্ট।