বিরোধীরা এক হওয়ায় এই উত্তর প্রদেশে এসেই থেমেছে বিজেপির বিজয় রথ
নিউ দিল্লি: রাজধানীর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত অনেকেই মজা করে বলেন, দিল্লির ক্ষমতার অলিন্দে পৌঁছনোর রাস্তা উত্তর প্রদেশ হয়েই আসে। দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্যে ফল ভাল না হলে দিল্লি দখল যে অধরাই থেকে যায় তা অঙ্কের হিসেবেও সত্যি। আর তাই আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে কাবু করতে উত্তর প্রদেশর বিরোধী দল গুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে। কংগ্রেস থেকে শুরু করে সমাজবাদী পার্টি বা বহুজন সমাজ পার্টির নেতারা এ সত্য খুব ভালভাবেই জানেন। মোট 80 আসনের রাজ্যে কে কটায় লড়বে তা নিয়ে তলায় তলায় আলোচনা চলছিল। কিন্তু এবার সেই প্রস্তাবিত ‘সমঝোতা’ আনুষ্ঠানিক ভাবে রূপ পেয়েছে বলে খবর। কোন দল কটি করে আসনে লড়বে তা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা বেশ কিছুটা এগিয়েছে। মনে করা হচ্ছে কিছুদিনের মধ্যেই তা চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
বিরোধীরা এক হওয়ায় এই উত্তর প্রদেশে এসেই থেমেছে বিজেপির বিজয় রথ। পরপর কয়েকটি উপনির্বাচনে হারতে হয়েছে বিজেপিকে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ছেড়ে যাওয়া আসন গোরক্ষপুরে অস্তমিত হয়েছে গেরুয়া পতাকা। সেটা অবশ্য বেশ কয়েকদিন আগের কথা। তারপর উত্তরপ্রদেশের কাইরানা লোকসভা এবং নুরপুর বিধানসভার উপনির্বাচনেও হার হয়েছে বিজেপির। এরপর আবারও জোট প্রসঙ্গে কাছাকাছি এসেছে দলগুলি। জানা গিয়েছে অজিত সিংয়ের দল আরএলডি থাকছে এই জোটে। মনে রাখতে হবে কাইরানাতে সমস্ত বিরোধী দলের সমর্থনে জিতেছিল আরএলডি-ই। তাছাড়া এবার কংগ্রেসকে 10 টির মতো আসন দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে মোটের ওপর এটা ঠিক যে সবচেয়ে বেশি আসনে লড়বে দলিত নেত্রী মায়াবতীর দল বিএসপি। আর অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি লড়বে 32টি আসনে।
উত্তর প্রদেশে জোটের পথ সুগম হলেও মধ্যপ্রদেশে কিছুটা হলেও সমস্যা আছে। সেখানে কংগ্রেস এবং অন্য দলগুলির শক্তি বিএসপির থেকে বেশি। তবু নাকি সেখানে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে 230টির মধ্যে 50 টি আসন চেয়েছেন মায়াবতী। কিন্তু তাঁকে অত আসন ছাড়তে রাজি নয় বাকিরা। অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, বিহার এবং তামিলনাডুরতে সমঝোতা প্রায় সেরে ফেলেছে কংগ্রেস। ঝাড়খণ্ডে জেএমএম, তামিলনাডুতে ডিএমকে এবং মহারাষ্ট্রের এনসিপি কংগ্রেসের হাত ধরছে বলে শোনা যাচ্ছে। আর বিহারে আগেও মহাজোট হয়েছিল। তবে বিজেপি বিরোধী সেই মহাজোটের মুখ নীতীশ কুমার এখন বিজেপির সঙ্গে। তাই তাঁকে বাদ দিয়েই হবে জোট।