কাশ্মীর ইস্যুতে (Kashmir Issue) বিরোধিতা করে নীতিশ কুমারের দলও, তবে ভোট বয়কট করে তারা
নিউ দিল্লি: কাশ্মীর ইস্যু (Kashmir Issue) নিয়ে মঙ্গলবার ফের উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা সংসদের অধিবেশন। ইতিমধ্যেই আজ (মঙ্গলবার) লোকসভায় দলীয় সাংসদদের (Lok Sabha MP) উপস্থিতির জন্যে হুইপ (whip) জারি করল কংগ্রেস (Congress) । সোমবারই জম্মু কাশ্মীরের পুনর্গঠন এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা সংক্রান্ত বিল পাস হয়ে যায় রাজ্যসভায়। এদিকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে (Jammu & Kashmir) ৩৭০ ধারা বিলোপ এবং একে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করে বিরোধী দল কংগ্রেস।কাশ্মীর নিয়ে সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিরোধীদের বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেয় হাতের দল (Congress) । কংগ্রেসের সঙ্গে ওই বিরোধিতায় সামিল হয় সমাজবাদি পার্টি, ডিএমকে, আরজেডি এবং বামেরাও। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারও কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সংসদ উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা। তাই ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস চায় মঙ্গলবার লোকসভায় তাঁদের সমস্ত সাংসদ (Lok Sabha MP) উপস্থিত থাকুন। আর সেই লক্ষ্যেই দলীয় সাংসদদের মঙ্গলবার লোকসভায় উপস্থিতি আবশ্যিক ঘোষণা করে ৩ লাইনের হুইপ জারি করে তাঁরা।
জম্মু কাশ্মীরকে ভাগ করার বিল পাশ রাজ্যসভায়
সোমবার কংগ্রেস সহ বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও রাজ্যসভার অধিবেশনে কাশ্মীর সংক্রান্ত (Jammu & Kashmir) বিলটি পাস করাতে সমর্থ হয় কেন্দ্রীয় সরকার। গতকাল (সোমবার) রাজ্যসভার অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করে বহু বিরোধী দল, ফলে কমে যায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা। অন্যান্যরা সরকারের পক্ষেই যায়। এনডিএ রাজ্যসভায় সংখ্যালঘু হলেও ভোটাভুটি সরকারের পক্ষেই যায়। মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি, নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল, জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস, চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি, এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিও সরকারের সমর্থনে ভোট দেয়। সব মিলিয়ে সরকারের পক্ষে সংখ্যা দাঁড়ায় ১১৭। রাজ্যসভায় ভোট বয়কট করে নীতিশ কুমারের জেডিইউ এবং ওয়াকআউট করে ১৩ সদস্য থাকা তৃণমূল কংগ্রেস। ২৪২ সদস্যের রাজ্যসভায় শাসক এনডিএ-র পক্ষে ১০৭ সংখ্যা রয়েছে যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন হয় ১২১ সংখ্যা। কিন্তু বেশ কয়েকটি বিরোধীরা অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করায় সুবিধা হয় শাসক দল বিজেপির। পাস হয়ে যায় কাশ্মীর সংক্রান্ত বিলটি।
৩৭০ ধারা জম্মু কাশ্মীরে গণতন্ত্র রাখে না : অমিত শাহের বক্তব্য
কাশ্মীর ইস্যুতে (Kashmir Issue) বিরোধিতা করে নীতিশ কুমারের দলও, তবে ভোট বয়কট করে তারা।অমিত শাহের ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করায়, সংবিধানকে লঙ্ঘন করায় দুজন পিডিপি সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ঘোষণার মধ্য দিয়েই জম্মু কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) ৩৭০ নম্বর ধারার অবলুপ্তি ঘটানো হবে বলে সোমবার সকালে ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হবে বলেও জানান তিনি, একটি জম্মু কাশ্মীর—যেখানে থাকবে একটি বিধানসভা, অন্যটি লাদাখ, যেখানে কোনও বিধানসভা থাকবে না।