Anti-CAA Protest: মেদিনীপুরে আয়োজিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় আয়োজিত সভায় যোগ দিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী
হাইলাইটস
- মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল দুজনেই জোকার, বললেন অধীর চৌধুরী
- রাজভবন এবং নবান্নে সার্কাস চলছে, বলেন কংগ্রেসের ওই সাংসদ
- সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সরব হন অধীর
মেদিনীপুর: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে (Jagdeep Dhankhar) সার্কাসের "জোকার" বলে তীব্র কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় একে অপরের সমালোচনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করার সুযোগ হাতছাড়া করলেন না ওই কংগ্রেস নেতা (Adhir Chowdhury)। শুক্রবার মেদিনীপুর শহরে জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ বা এনআরসি ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ-র বিরোধিতা (Anti-CAA Protest) করে আয়োজিত এক সভায় যোগ দিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। ওই সভা মঞ্চ থেকেই তিনি রাজ্যের সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক প্রধানকে "জোকার" বলে কটাক্ষ করেন। "আমাদের রাজ্যে সার্কাস চলছে। রাজ্যের দুই ভবনেই চলছে এই সার্কাস। এক রাজভবন অর্থাৎ জগদীপ ধনখড়ের বাড়ি ও অন্যটি নবান্ন অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর অফিস। এই সার্কাসে দু'জনেই জোকার", বলেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
CAA: আধার, প্যান কার্ড দেখিয়ে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে পারবেন না, বললেন দিলীপ ঘোষ
রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেড়েই চলেছে, জগদীপ ধনখড় "সমান্তরাল প্রশাসন" চালাচ্ছেন, এমন অভিযোগও করতে শোনা গেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। যদিও রাজ্যপাল বরাবরই এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী মেদিনীপুর জেলা যুব কংগ্রেস আয়োজিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণ (এনপিআর) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ (এনআরসি) এর বিরুদ্ধে একটি সমাবেশে অংশ নিতে মেদিনীপুরে যান, সেখান থেকেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একযোগে আক্রমণ করেন তিনি।
রাজ্যপালের ডাকা বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী Mamata Banerjee
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ ২০১৫ এর আগে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে যে অমুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা ভারতে প্রবেশ করেছে তাঁদের ভারতে থাকার বিষয়ে এবং এখানকার নাগরিকত্ব লাভের বিষয়েও অনুমতি দেয়।
এর আগে বিভিন্ন রাজ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়েছে। এ রাজ্যেও এই বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।