This Article is From Dec 06, 2019

‘‘একদিকে রামের মন্দির হচ্ছে, অন্যদিকে সীতার গায়ে আগুন লাগানো হচ্ছে!’’: অধীর চৌধুরী

এদিন ভোর তিনটের সময় অভিযুক্তদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তদন্তের জন্য। সেই সময়ই তারা পালানোর চেষ্টা করে তাদের গুলি করে মারে পুলিশ।

‘‘একদিকে রামের মন্দির হচ্ছে, অন্যদিকে সীতার গায়ে আগুন লাগানো হচ্ছে!’’: অধীর চৌধুরী

শুক্রবার সংসদে ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কের সময় অধীর চৌধুরী ক্ষোভ উগরে দেন।

नई दिल्ली:

দেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় দেশ। সেই ছায়া সংসদেও। শুক্রবার সংসদে ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কের সময় বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chaudhary) জানালেন, উন্নাওয়ের এক ধর্ষিতার (Unnao Rape Victim) গায়ে আগুন লাগিয়েছে অভিযুক্তরা। তাঁর শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কী ঘটছে এই দেশে? একদিকে ভগবান রামের মন্দির তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে মা সীতার গায়ে আগুন লাগানো হচ্ছে! এমন কাজ করার সাহস কী করে পাচ্ছে অপরাধী?'' অধীর চৌধুরীর এই বক্তব্যের পর কংগ্রেস সাংসদরা ওয়াক আউট করে কক্ষের বাইরে চলে যান। এর আগে দিল্লির সাংসদ মীনাক্ষী লেখি তেলেঙ্গানা এনকাউন্টার প্রসঙ্গে তাঁর মতামত জানান।

লোকসভায় এনকাউন্টার নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন মীনাক্ষী লেখি বলেন, সাজিয়ে রাখতে পুলিশের কাছে অস্ত্র দেওয়া হয় না। তিনি বলেন, ‘‘আপনি অপরাধও করবেন আবার হাতকড়ি খুলে পালানোর চেষ্টাও করবেন। পুলিশের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হয়েছে? তারা কী করত?''

এবার রাজ্যে ধর্ষণের পর এক মহিলাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা!

তিনি আরও দাবি করেন, নির্ভয়া কাণ্ডে দিল্লি সরকার ওই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কয়েক মাস সেটা চেপে রেখেছিল।

গত সপ্তাহে ২৬ বছরের তরুণীর ভয়ঙ্কর পরিণতি দেখে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। হায়দরাবাদের কাছে টোল বুথের পার্শ্ববর্তী এলাকায় চার তরুণ ২৬ বছরের পশু চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে তাঁকে হত্যা করে পুড়িয়ে দেয়। চার অভিযুক্তের নাম মহম্মদ, জলু শিবা, জলু নবীন ও চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশবালু। এদের মধ্যে মহম্মদের বয়স ২৬। বাকিদের বয়স ২০।

তেলেঙ্গানা গণ ধর্ষণ ও খুন: অভিযুক্ত ৪ জনকেই এনকাউন্টার করে হত্যা পুলিশের

এদিন ভোর তিনটের সময় তাদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তদন্তের জন্য। সেই সময়ই তারা পালানোর চেষ্টা করে তাদের গুলি করে মারে পুলিশ।

ঘটনাটিকে আবার সাজানোর জন্য তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুল‌িশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা পালাতে চেষ্টা করছিল। তারা এমনকী পুলিশের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে ‌নেওয়ারও চেষ্টা করছিল‌। এরপরই পুলিশ তাদের গুলি করে মারতে বাধ্য হয়।

গত ২৭ নভেম্বর একটি টোল বুথে ওই তরুণীকে নিজের স্কুটার দাঁড় করাতে দেখে অভিযুক্তরা। তখনও তারা ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। তারা স্কুটারের টায়ার পাংচার করে দিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। এরপর ওই তরুণী ফিরে এলে তাঁকে একটি ফাঁকা স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে হত্যা করে। পরে তাঁর দেহটি পুড়িয়ে দেয় তারা। 

.