বুধবার ২৩ অক্টোবর একটি মউ চুক্তিতে সই করবে ভারত ও পাকিস্তান।
নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের (Pakistan) কর্তারপুরে (Kartarpur) শিখ তীর্থযাত্রীদের (Sikh Pilgrims) মাথাপিছু ২০ মার্কিন ডলার করে (জাজিয়া কর) নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি মঙ্গলবার প্রস্তাব দিলেন, বিজেপি সরকারের উচিত শিখ তীর্থযাত্রীদের হয়ে ওই করের টাকা দিয়ে দেওয়া, কেননা কর্তারপুরের গুরুদ্বারে ‘খুলে দর্শন' করতে যাওয়ার কথা ওই তীর্থযাত্রীদের। বুধবার ২৩ অক্টোবর একটি মউ চুক্তিতে সই করবে ভারত ও পাকিস্তান। কর্তারপুর করিডর ভারতের সঙ্গে কর্তারপুর গুরুদ্বারকে সংযুক্ত করেছে। প্রসঙ্গত, এই কর্তারপুরেই শিখ ধর্মের প্রবর্তক গুরু নানক তাঁর জীবনের শেষ ক'টি দিন কাটিয়েছিলেন। ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে করের অঙ্ক পুনর্বিবেচনা করার কথা জানিয়েছে।
কোনও রকেট বা শব্দবাজি নয়, এই দীপাবলিতে বৈধ শুধু আতসবাজি
এই পরিপ্রেক্ষিতে মণীশ তিওয়ারি টুইট করে জানিয়েছেন, ‘‘যদি পাকিস্তান জোর করে ২০ মার্কিন ডলার দিতে বাধ্য করে কর্তারপুরের তীর্থযাত্রীদের এবং ভারত ২৩ অক্টোবর চুক্তিতে সই করে দেয়, তাহলে এনডিএ/বিজেপি সরকারের উচিত মউ চুক্তি বাবদ জাজিয়া করের খরচটা দিয়ে দেওয়া। কর্তারপুর সাহিবে ‘খুলে দর্শন'-এর সুযোগ করে দেওয়া উচিত তীর্থযাত্রীদের।''
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন তীর্থযাত্রী পিছু ২০ মার্কিন ডলার নেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার ব্যাপারে।
বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘হতাশার বিষয় যে, পাকিস্তান জোর করে চলেছে এখানে আসার জন্য প্রত্যেক তীর্থযাত্রীকে ২০ মার্কিন ডলার দিতে হবে।''
এই করিডর তৈরি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। উদ্দেশ্য, গুরদাসপুরের ডেরা বাবা নানক ও পাকিস্তানের গুরুদ্বার দরবার সাহিবকে যুক্ত করা। ১২ নভেম্বর গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকী। সেই উপলক্ষে তীর্থযাত্রীরা গুরুদ্বার দরবার সাহিবে আসবেন।