Read in English
This Article is From Feb 12, 2020

দিল্লিতে কংগ্রেসের পতনের জন্য প্রয়াত শীলা দীক্ষিতকে দায়ী করলেন কংগ্রেস নেতা

বর্ষীয়ান নেতা পিসি চাকো (PC Chacko) পদ ছাড়তে চাইলেন হারের জন্য সদ্যপ্রয়াত কংগ্রেস নেত্রী ও দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে (Sheila Dikshit) দায়ী করে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Reported by , Edited by (with inputs from ANI)

কংগ্রেস নেতা পিসি চাকো পদত্যাগ করতে চেয়েছেন।

Highlights

  • দিল্লিতে কংগ্রেসের পতনের কারণ হিসেবে শীলা দীক্ষিতকে দায়ী কংগ্রেস নেতার
  • তিনি পদত্যাগ করতে চেয়েছেন
  • ২০১৪ সালের মতো এবারও কোনও আসনেই জয়লাভ করতে পারেনি কংগ্রেস
নয়াদিল্লি:

দিল্লি নির্বাচনে (Delhi Election 2020) পরপর দ্বিতীয়বার পরাজিত হয়েছে কংগ্রেস। ২০১৪ সালের মতো এবারও কোনও আসনেই জয়লাভ করতে পারেনি তারা। এই পরিস্থিতিতে দলের বর্ষীয়ান নেতা পিসি চাকো (PC Chacko) পদ ছাড়তে চাইলেন হারের জন্য সদ্যপ্রয়াত কংগ্রেস নেত্রী ও দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে (Sheila Dikshit) দায়ী করে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, দলের এই পতনের সূচনা হয়েছিল শীলা দীক্ষিত মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের পতন শুরু হয় ২০১৩ সালে, যখন শীলা দীক্ষিত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এক নতুন দল হিসেবে উত্থানের পর আপ কংগ্রেসের ভোট ব্যাঙ্ক দখল করে। আমরা আর তা ফেরত পাইনি। ওটা আজও আপের কাছেই রয়েছে।''

চাকোর এমন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের অন্দরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তাঁর মন্তব্যের সমালোচনা কেন মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা মিলিন্ড দেওরা।

তিনি টুইট করে জানান, ‘‘শীলা দীক্ষিত জি একজন অসামান্য রাজনীতিবিদ ও প্রশাসক ছিলেন। তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বকালী‌ন দিল্লি রূপান্তরিত হয় এবং কংগ্রেস সবচেয়ে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। দুর্ভাগ্যবশত তাঁকে এভাবে মৃত্যুর পরে সমালোচিত হতে হচ্ছে। উনি নিজের জীবনকে কংগ্রেস ও দিল্লির মানুষদের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন।''

Advertisement

প্রসঙ্গত, শীলা দীক্ষিত তিনবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এবং তাঁর সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকর্মের কারণে কংগ্রেস পরপর সেখানে জয়ী হয়। ২০১৩ সালে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। মাত্র এক বছরের দল আপ এসে দারুণ ফল করে নির্বাচনে। কংগ্রেস আপকে সমর্থন দিলেও ৪৯ দিনে সরকার ভেঙে যায় অরবিন্দ কেজরিওয়াল পদত্যাগ করায়। // এরপর পরপর দু'টি নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দিল্লিতে জয়ী আম আদমি পার্টি।

গত বছর ৮১ বছরের নেত্রী কংগ্রেসের ভিতরে দলবাজির অভিযোগ করেন রাহুল গান্ধি ও সনিয়া গান্ধিকে। তিনি কংগ্রেসের দিল্লি সংগঠনে পরিবর্তনও চেয়েছিলেন। কিন্তু চাকো ও আরও তিন নেতা তাঁর বিরোধিতা করেন।

Advertisement

গত বছরের জুলাই মাসে প্রয়াত হন শীলা দীক্ষিত।

এবারের নির্বাচনে ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৩টিতে জয়ী হয় আম আদমি পার্টি। কংগ্রেস শেষ করে শূন্যতে।

Advertisement

শীলা দীক্ষিতের অভাব অনুভব রে অভিষেক মনু সিংভি জানান, ‘‘আমরা শীলা দীক্ষিতকে মিস করেছি। আমরা ওরকম একজন নেত্রীকে মিস করেছি এবং তাঁর জায়গায় কাউকে বসাতে পারি‌নি।''

Advertisement