কংগ্রেসের (Congress) প্রস্তাবিত প্রতিবাদ মিছিল থেকে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) পুলিশ কংগ্রেস নেতা জিতিন প্রসাদাকে প্রতিরোধমূলক হেফাজতে নিয়েছে। জিতিন জানিয়েছেন, সরকারের এই পদক্ষেপ ‘‘শেষ নয়, বরং সূচনা''। NDTV-কে তিনি বলেন, দলের সিনিয়র নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধি (Priyanka Gandhi) এই ব্যাপারে অত্যন্ত দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন। আইনের ছাত্রী এক তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ ও তিনবারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দ। ওই তরুণীর সমর্থনে শাহজাহানপুর থেকে লখনউ পর্যন্ত ১৮০ কিলোমিটারের প্রতিবাদ মিছিল বের করে কংগ্রেস। এরপরই জিতিন প্রসাদা ও আরও ৮০ জন কর্মীকে আটক করে হেফাজতে নেয় পুলিশ। গত সপ্তাহে ওই নির্যাতিতা তরুণীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই মুহূর্তে তিনি জেলে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জোরপূর্বক আদায়ের চেষ্টা করেছেন চিন্ময়ানন্দর থেকে।
অভিযুক্ত চিন্ময়ানন্দ এই মুহূর্তে রয়েছেন হাসপাতালে। প্রিয়ঙ্কা গান্ধির অভিযোগ, প্রশাসন সামগ্রিক ভাবে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে রক্ষা করছে।
ওই পদযাত্রা সম্পর্কে জনগণ অবগত ছিল বলে NDTV-কে জানিয়েছেন জিতিন প্রসাদ। কিন্তু রবিবার রাতে জেলা প্রশাসনের কর্মীরা সেই পদযাত্রা বাতিল করে দেন। শাহজাহানপুর জেলার সীমান্ত বন্ধ করে রাখা হয় বলে কংগ্রেস টুইটারে অভিযোগা জানিয়েছে।
জিতিন প্রসাদ প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘কেন বিজেপি সরকার ভাবল আইন শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হবে? সরকারের এই পদক্ষেপ মেনে নেওয়া যায় না। সরকার এখানে মানুষের কণ্ঠস্বর রোধ করতে চাইছে।''
পরে টুইটে জিতিন লেখেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ কাশ্মীর নয়। তবুও আমি আজ প্রতিরোধমূলক হেফাজতে রয়েছি। কেবল মাত্র শাহজাহানপুরের ধর্ষিতা তরুণীর জন্য ন্যায়ের অঙ্গীকার চেয়ে। বিজেপি সরকার ব্যক্তির মৌলিক অধিকার রদে কখনও সংশয়ে ভোগে না।''
‘‘বিজেপি ভাগাও বেটি বাঁচাও'' হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইট করে কংগ্রেস জানিয়েছে, বিজেপি নেতা ও ধর্ষণে অভিযুক্ত চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে চেয়ে কংগ্রেস নেতারা আটক হয়েছেন। কেন বিজেপি সরকার এমন এক অপরাধীকে রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ?
২৩ বছরের আইনের ছাত্রী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন, তিনি ওই তরুণীকে এক বছর ধরে যৌন হেনস্থা করেছেন। চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জ আনা হয়নি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে যৌন মিলন করার চার্জ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে ওই তরুণীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি চিন্ময়ানন্দের কাছ থেকে বলপূর্বক ৫ কোটি টাকা চেয়েছেন। বিশেষ তদন্তকারী দল তদন্তে নেমে দাবি জানিয়েছে, ওই তরুণী নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন।