Anti-CAA Rally: কেরলের ওয়ানাড কেন্দ্র থেকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাহুল গান্ধি
হাইলাইটস
- কেরলের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধি
- গান্ধিবাদ নয়, গডসের মতবাদে বিশ্বাসী নরেন্দ্র মোদি, বলেন তিনি
- সিএএ-বিরোধী সভা থেকেই মোদিকে নিশানা করেন কংগ্রেস সাংসদ
ওয়ানাড: নাথুরাম গডসে (Nathuram Godse) এবং নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) একই মতবাদে বিশ্বাসী, নিজের সংসদীয় এলাকা ওয়ানাড থেকে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। বৃহস্পতিবার কেরলে আয়োজিত একটি সিএএ-বিরোধী সমাবেশে (Anti-CAA Rally) যোগ দিয়ে ওইভাবেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act) বিষয়ে নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করতে গিয়ে রাহুল বললেন যে এখন দেশের মানুষ যেভাবে সিএএ বিরোধী হয়ে উঠেছে তা দেখে এতটাই রেগে গেছেন প্রধানমন্ত্রী যে তিনি মহাত্মা গান্ধিজির মতবাদে বিশ্বাস রাখার মতো অবস্থায় নেই। "বর্তমানে একজন অজ্ঞ, জ্ঞানহীন মানুষও এটিকে (CAA) চ্যালেঞ্জ জানাতে চাইছে। এই সব উপলব্ধি করে তিনি (নরেন্দ্র মোদি) এতটাই রেগে আছেন যে তিনি বুঝতে পারছেন না যে ভারতের শক্তি ঠিক কী। আসলে তাঁর মতাদর্শ আর গডসের মতাদর্শ একই। নরেন্দ্র মোদি এবং নাথুরাম গডসে একই মতাদর্শে বিশ্বাসী। সেখানে কোনও পার্থক্য নেই। অথচ নরেন্দ্র মোদি যে গডসের মতবাদে বিশ্বাসী এটা বলার মতো সৎ সাহসও নেই তাঁর", বলেন রাহুল গান্ধি।
CAA নিয়ে ইউরোপীয় সংসদে ভোট না হওয়ায় একে "কূটনৈতিক জয়" হিসাবেই দেখছে ভারত
এর আগেও বিভিন্ন সময় বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধি। "এই পদক্ষেপকে (সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি) নোটবন্দি ২ বলতে পারি। এটি নোট বাতিলের পদক্ষেপের থেকেও আরও বিপর্যয় সৃষ্টিকারী পদক্ষেপ হবে। সমস্ত দরিদ্র মানুষকে নিজেদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর ফলে তাঁরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন", এর আগেও ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন তিনি।
"কোনও প্রমাণ নেই": CAA বিক্ষোভকারীদের জামিন, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!
পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। বিশেষত কলেজ ক্যাম্পাসে এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতে এই প্রথমবার নাগরিকত্ব আইনে ধর্মকে নাগরিক হওয়ার মাপকাঠি করা হয়েছে। সরকারের দাবি, এই আইনের ফলে, ২০১৫ এর আগে, ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে চলে আসা তিন মুসলিম অধ্যুষিত দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ সহজ হবে । কিন্তু সমালোচকদের দাবি, এই আইনটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিভাজনমূলক এবং তা সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতাকে লঙ্ঘন করে।