Madhya Pradesh: ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জমির ফসল যাতে নষ্ট না করা হয় তার জন্যে পুলিশকে কাকুতিমিনতি করছে কৃষক দম্পতি
হাইলাইটস
- মধ্যপ্রদেশের গুণায় এক কৃষক দম্পতির উপর পুলিশ প্রশাসনের অত্যাচার
- সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই নিন্দার ঝড় উঠলো
- ঘটনার প্রতিবাদ করে টুইট করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিও
মধ্যপ্রদেশ: যেভাবে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) এক কৃষক দম্পতির উপর অমানুষিক অত্যাচার (Cops Attack Farmer Couple) করলো পুলিশ, তা দেখে বোধহয় লজ্জায় মুখ ঢেকেছেন অনেকেই। ওই কৃষক দম্পতির অপরাধ, গুণায় (Guna) তাঁদের ওই কৃষিজমির উপর মডেল কলেজ তৈরি করা হবে বলে নোটিস পাঠানো সত্ত্বেও জমি ছেড়ে উঠে যাননি তাঁরা। পাশাপাশি যে জমিতে তাঁরা চাষ করছেন সেটি সরকারি জমি বলেও দাবি করা হয়। কিন্তু জমি থেকে উচ্ছেদের জন্যে যে পদ্ধতি ব্যবহার করেছে শিবরাজ সিং প্রশাসন তাতে নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলে। এমনকী গোটা ঘটনার ভিডিও দেখে গর্জে উঠেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিও। তিনি (Rahul Gandhi) হিন্দিতে টুইট করেন, "আমাদের লড়াই এই মানসিকতা এবং অবিচারের বিরুদ্ধেই"।
করোনার নয়া রেকর্ড! দেশে একদিনে ৩২,০০০ এরও বেশি করোনা পজিটিভ
এই মধ্যপ্রদেশই কিছুদিন আগে হাতছাড়া হয়েছে কংগ্রেসের। একসময়ের রাহুল ঘনিষ্ঠ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার চারণভূমি ছিল এই গুণা। কিন্তু হঠাৎ করেই মার্চ মাসে বিক্ষুব্ধ সিন্ধিয়া নিজের অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে 'হাত' ছেড়ে 'পদ্ম শিবির'-এ চলে যান। তারপরেই মধ্যপ্রদেশের মসনদে ফের বসেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।
রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ২৪ ঘণ্টায় আরও ১,৫৮৯ জন কোভিড- ১৯ পজিটিভ
জানা গেছে, গুণার কৃষক রামকুমার আহিরওয়ারকে জমি খালি করার নোটিস দেওয়ার পরেও কোনও কাজ না হওয়ায় সেই জমিতে হওয়া ফসলের ওপর দিয়েই বুলডোজার চালিয়ে দেন মধ্যপ্রদেশের রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকরা। আর জোর করে চোখের সামনে ওই কৃষক ও তাঁর পরিবারকে সেই ঘটনা দেখতে বাধ্য করে পুলিশ, চলে নির্মম অত্যাচারও। বারবার কাকুতি মিনতি করা সত্ত্বেও বুলডোজার থামানো হয়নি। অবশেষে সন্তান ও পুলিশের সামনেই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন ওই দলিত কৃষক দম্পতি। তবে বর্তমানে একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাম কুমার আহিরওয়ার (৩৮), তাঁর স্ত্রী সাবিত্রী দেবী (৩৫)-র শারীরিক অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে গুণার প্রাক্তন সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া টুইট করে জানান যে ঘটনার তদন্ত দাবি করা হয়েছে। "গুনার এসপি (পুলিশ সুপার) এবং কালেক্টরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবং ঘটনার তদন্তের দাবি করা হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে এই জঘন্য কাজটির জন্য যারা দায়ী তাদের সকলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে", লেখেন রাজ্যসভার ওই সাংসদ।