বিজেপি সাংসদরা চেয়েছিলেন মানিকরামের বহিষ্কার ও রাহুল গান্ধির ক্ষমাপ্রার্থনা।
হাইলাইটস
- সংসদে শুক্রবার বিজেপি ও বিরোধী কংগ্রেসের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছল
- কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন রাহুলের সমালোচনা করলে ওই বিশৃঙ্খলা শুরু হয়
- স্পিকার সভা মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হন
নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) প্রতি রাহুল গান্ধির (Rahul Gandhi) মন্তব্যকে ঘিরে শুক্রবার বিজেপি (BJP) ও বিরোধী কংগ্রেসের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছল। এদিন মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে একটি প্রশ্ন করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধিকে। তিনি বলেন, ‘‘স্যার, আমাকে ক্ষমা করবেন। কিন্তু প্রিয় শ্রী রাহুল গান্ধিজির প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে আমি নিন্দা করতে চাই যে বিজাতীয় ভাষা তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছেন।'' তাঁর এই মন্তব্যের পরেই শুরু হয় গণ্ডগোল। স্পিকার ওম বিড়লা অবশ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তাঁর উত্তরে মনোযোগ দিতে বলেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিবৃতি পড়তে শুরু করার পর কংগ্রেস সাংসদরা স্পিকারের চেয়ারের দিকে এগিয়ে এসে হর্ষ বর্ধনের নামে স্লোগান দিতে থাকেন।
তামিলনাডুর কংগ্রেস সাংসদ মানিকরাম টেগোর শাসক দলের বেঞ্চের দিকে এগিয়ে যান। তিনি আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে হর্ষ বর্ধনের কাছে পৌঁছতে চাইছিলেন। সেই সময় এক বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংহ তাঁকে পিছন থেকে ধরে বাধা দেন। আর এক কংগ্রেস সাংসদ হিবি ইডেনও সেখানে আসেন।
এরপরই দু'দলের সাংসদদের অনেকেই তাঁদের নিরস্ত করার চেষ্টা করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আপনারা কী করছেন? কী হচ্ছে এসব?''
এই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই হর্ষ বর্ধন তাঁর বিবৃতি পড়তে থাকেন। তিনি জানান, রাহুল গান্ধি বলেছিলেন, ছ'মাস পরে দেশের যুবারা নরেন্দ্র মোদিকে লাঠি মেরে দেশ থেকে বের করে দেবে। হর্ষ বলেন, এমন মন্তব্যের কড়া নিন্দা হওয়া উচিত কক্ষে।
এরপর স্পিকার সভা মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হন।
কিছুক্ষণ পর আবার সভা শুরু হলে আরও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ফলে আবার তা মুলতুবি করতে হয়।
বিজেপি সাংসদরা দাবি করেন, মানিকরামের বহিষ্কার ও রাহুল গান্ধির ক্ষমাপ্রার্থনা।
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে এক নির্বাচনি জনসভায় ওই মন্তব্য করেন রাহুল গান্ধি। বৃহস্পতিবার সংসদে সেই মন্তব্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সূর্য নমস্কারের পরিমাণ বাড়িয়ে নেবেন। ফলে তাঁর শরীর আরও শক্ত হয়ে যাবে। লাঠির আঘাতে লাগবে না। তাঁর কথা শুনে রাহুল গান্ধি কিছু বলতে গেলে প্রধানমন্ত্রী ‘টিউবলাইট' বলেন তাঁকে।