"আমি উত্তর পূর্বের জনগণের পাশে আছি", টুইটে আশ্বাস দেন Rahul Gandhi
হাইলাইটস
- সিএবির মাধ্যমে উত্তর-পূর্বে "জাতির ভিত্তিতে সাফাই" করতে চাইছে কেন্দ্র
- জনগণের মনে স্বচ্ছ ধারণা দিক সরকার, বলেন রাহুল গান্ধি
- "আমি উত্তর-পূর্বের রাজ্যের জনগণের পাশে আছি", টুইট কংগ্রেস নেতার
নয়া দিল্লি: সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship Amendment Bill) নিয়ে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর দিক, টুইট করে বললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। রাজ্যসভায় আজ পেশ করা হবে ওই বিল। সেখানে বিলটি নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক চলার পর সরকারের পক্ষ থেকে সেটিকে পাস করানোর প্রয়াস থাকবে। সোমবার লোকসভায় ভোটাভুটির মাধ্যমে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি পাস করে কেন্দ্রীয় সরকার। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের মাধ্যমে আসলে "উত্তর-পূর্বে অপরাধমূলক আক্রমণ" করছে সরকার এবং এই অঞ্চলটি থেকে "জাতির ভিত্তিতে সাফাই" করার একটি প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র, টুইটে বলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। বুধবার সংসদে বিতর্কিত বিলটি পেশ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই ওই টুইট করেন তিনি।
"সিএবি আসলে মোদি-শাহ সরকারের জাতির ভিত্তিতে উত্তর-পূর্বকে সাফাই করার একটি প্রয়াস। এটি উত্তর পূর্বের উপর, তাঁদের জীবনযাত্রা এবং ভারতের ধারণার উপর একটি অপরাধমূলক আক্রমণ। জাতীয় সংহতির প্রশ্নে আমি উত্তর পূর্বের জনগণের পাশে রয়েছি", টুইট করেন কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ রাহুল গান্ধি।
CAB-র পক্ষে বিজেপিকে সমর্থন জানিয়ে শিবসেনা ভোট দেওয়ায় ক্ষুব্ধ সনিয়া গান্ধি!
এই বিলের বিরুদ্ধে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে অমুসলিম পাকিস্তানি, আফগান, এবং বাংলাদেশীদের ভারতীয় নাগরিক করার রাস্তা সহজ করে দেওয়া হয়েছে. আর তাঁর বিরুদ্ধে রোষে ফেটে পড়েন সেখানকার জনতা।
মঙ্গলবার ত্রিপুরা সরকার এই বিক্ষোভের কারণে রাজ্য জুড়ে মোবাইল ইন্টারনেট এবং এসএমএস পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই বিক্ষোভ আন্দোলন চলাকালীন সিপাহিজালার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই মৃত্য়ু হয় ২ মাস বয়সী এক অসুস্থ শিশুর ।
"কিছু দল পাকিস্তানের মতো ভাষায় কথা বলছে": নাগরিকত্ব বিল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি
উত্তর-পূর্বের প্রভাবশালী ছাত্র সংগঠনগুলি রাজ্য জুড়ে বনধের ডাক দেয়। তাঁরা অভিযোগ করে যে সরকারের এই পদক্ষেপ এই অঞ্চলের জাতিগত পরিচয় ছিনিয়ে নিতে পারে। বিক্ষোভকারীরা বলেন, বিলটি পাস হলে দেশের পক্ষে খুবই "বিপজ্জনক" হবে। কারণ তাহলে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ থেকে আসা বহু মানুষ এ দেশে পাকাপাকিভাবে থেকে যেতে পারে।
অসমের ওই বিক্ষোভের ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবনও। সেখানে বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে আন্দোলন করেছে। কিছু জায়গায় ট্র্যাক অবরোধ করে তাঁরা, এমনকি বেশ কয়েকটি ট্রেনও ওই বিক্ষোভের জেরে বাতিল করতে হয়। সচিবালয় এবং বিধানসভা ভবনের কাছে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে নিরাপত্তা বাহিনীরও।
দেখে নিন এই ভিডিও: