দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আটক কংগ্রেস নেত্রী Sharmistha Mukherjee
হাইলাইটস
- প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কন্যাকে আটক করল দিল্লি পুলিশ
- অমিত শাহের বাড়ির কাছে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে তাঁকে আটক করা হয়
- নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে দিনভর উত্তাল দিল্লি
নয়া দিল্লি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship Amendment Act) প্রতিবাদে আজও (শুক্রবার) বিক্ষোভে উত্তাল রাজধানী। দিল্লিতে কংগ্রেসের হয়ে বিক্ষোভ দেখানোর সময় পুলিশের রোষে পড়লেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) বাড়ির কাছে কংগ্রেসের প্রতিবাদ আন্দোলন চলাকালীন আটক করা হয় দিল্লি কংগ্রেসের মহিলা শাখার প্রধানকে (Sharmistha Mukherjee)। "আমাদের আটক করে মন্দির মার্গ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে", টুইট করলেন দিল্লি কংগ্রেসের মহিলা শাখার প্রধান শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। প্রণব কন্যা শর্মিষ্ঠা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, দিল্লি মহিলা কংগ্রেসের প্রায় ৫০ জন মহিলা সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবারও বড় কোনও সমাবেশ আয়োজনের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে বিক্ষোভ দেখানো হয় দিল্লিতে।বিতর্কিত আইনের প্রতিবাদে কয়েক হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রায় কয়েকশো মানুষকে সাময়িকভাবে আটক করে দিল্লি পুলিশ। আটক রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে ছিলেন ডি রাজা, সীতারাম ইয়েচুরি, নীলোৎপাল বসু, বৃন্দা করাত, অজয় মাকেন, সন্দীপ দীক্ষিত এবং সমাজকর্মী যোগেন্দ্র যাদব ও উমর খালিদ সহ অনেকেই।
পুলিশের হাত এড়িয়ে পালালেন জামা মসজিদ চত্বরে আটক চন্দ্রশেখর আজাদ
এদিকে পুলিশি নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে দিল্লির জামা মসজিদ এলাকায় বিক্ষোভ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন ভীমসেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ। এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। সংসদে পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন প্রাপ্ত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যে সব অমুসলিম মানুষরা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা এবার ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই আইনেরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার উত্তাল হয়ে ওঠে দিল্লি। সেই রেশ ধরেই শুক্রবারও রাজধানীতে চলছে প্রতিবাদ-আন্দোলন।
সরকারের নির্দেশেই দিল্লিতে স্থগিত ভয়েস, এসএমএস, ডেটা পরিষেবা: এয়ারটেল-ভোডাফোন
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে তাঁরা জামা মসজিদের বাইরে কোনও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করার অনুমতি দেয়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই অঞ্চলে জমায়েত হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (ডিএমআরসি) জানিয়েছে, জামা মসজিদ, চাওরি বাজার এবং লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনগুলিতে ঢোকা ও বেরোনোর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং ট্রেনগুলি সেখানে থামবে না, জানিয়েছে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (ডিএমআরসি)।
নজর রাখুন দেশের অন্যান্য খবরেও: